উত্তুঙ্গ আসনে আসীন হে নগাধিরাজ
আকর্ষিত মানব দেখিয়া তোমার সাজ।
স্থাবর হইয়াও নিয়োজিত নিজ কাজে
কীর্তি লভিলে তুমি বিশ্ব চরাচর মাঝে।


নিজ স্থৈর্যে তুমি তদগত রহিয়া লীন
পরোপকারে নিজেরে করো বিলীন।
তব আশীষে রচিত ক্ষেত্র ভূভাগ ভূধর
সুপেয় স্রোতস্বিনী রূপে বহে তব বর।


ফুল্লকুসুমিত ধরা তব বারি প্রক্ষালনে
নাহি কর বঞ্চনা তুমি তৃণাদপি তৃণে।
তোমা বিনা ভারত ভূমি হইত শ্রীহীন
প্রকৃতি ধারণে ধন্য তার বাড়ায়েছ ঋণ।


দীর্ঘ সারি পান্থপাদপ তোমারই সৃজন
সুদৃশ্য কত পটভূমি তারা নয়ন লোভন।
আশ্রিত আবৃত, শত পশু পক্ষি মুখরিত  
কলকাকলীতে ঋদ্ধ তুমি করহ মোহিত।


ধ্যান গম্ভীর মৌন তাপস সৃজি পরিবেশ
মুনি ঋষির তরে যোগ্য তপভূমির দেশ।
দলে দলে পর্যটক ভ্রমণ দর্শন তোমায়
চোখে মুখে বিস্ফারিত তাদের বিস্ময়।


প্রসারিত করে নিজে রচিয়াছো প্রাকার,
আগুলিয়া সতত, ভারত উত্তর দ্বার।
তব মহিমা গানে মুখরিত কবি কুল
জগতে দ্বিতীয় নাহি ভূধর সমতুল।


দেবতাত্মা হিমালয় সর্ব তীর্থ সার
তোমাতেই অধিষ্ঠিত পঞ্চ কেদার।
তুমি অদ্রি,সপ্তবদ্রী করিয়া ধারন
হইতেছো পাপী তাপীর মোক্ষের কারন।
====================