সন্ধ্যার উন্মুক্ত উদার আকাশ হাতছানি
দেয়...
অসীমের প্রতি অব্যক্ত যন্ত্রণায়,
ধীরে ধীরে লালিমায়, সন্ধ্যার প্রশান্তি
নিমীলিত...
স্তরে স্তরে শায়িত মেঘ স্থির পুঞ্জিত
অপলকে চেয়ে থাকে যেন...
প্রতীক্ষার অবসানে, শান্ত সমাহিত।


এদিকে অবারিত গঙ্গা ধারা অস্তরাগে
রঙিন বাসনাকে বুকে ধরে...
দয়িতার সাথে মিলন আবেশে জাগে...
ভীরুতার কাঁপন নিরন্তর...
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে ভাঙ্গে।
দূরে দেখা টিমটিমে আলো জ্বেলে
জেলে নৌকা সারি ভেসে চলে
অনিশ্চিত ভাগ্যকে সাথে লয়ে আগে।


অনাদিসম্ভূত! হে সূর্য দেব,
কোন বিস্মরণ কাল হতে জীব জড়াকে
করে নিয়ন্ত্রিত নিখিল বিশ্ব চরাচর সেব।
চলমান তুমি, কালচক্রে আবর্তিত...
প্রতি সন্ধ্যায় সবিতার অস্ত,
আহ্বান, ইশারায় স্পন্দিত।


দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণ,
খেচর ভূচরের বাসা সমাগমে
কলকাকলিতে মুখর বাতাস।
ধরিত্রী নিবিড় অন্ধকারে বিলীন।
জেগে থাকে আকাশের বুকে
নক্ষত্ররাজি দেদীপ্যমান।


আনমনে আকাশ ধেয়ানে..
মন চলে সূদুর বিরাট পুরুষ পানে,
কত ক্ষুদ্র এ মানব প্রজাতি!
কে আমি? কোথা মোর স্থান?
এমনই কোন কোন সন্ধ্যার আকাশ
জাগিয়ে মনে প্রদীপ্ত প্রশ্ন বাণ
গৃহছাড়া করে কত সন্ত মুনি জনে।।
=================