শীতের কাঁপন লাগলো হাওয়ার পরে,
কৃষ্ণচূড়া পলাশ শিমুল বনে,
উতল হাওয়া উদাস গুণ টানে,
ঝরাপাতা ঝরছে ঝুরে ঝুরে।


নেই সজীবতা কোথাও একটু খানি,
নীরস বদনে আঁখি মোর যবে মেলি,
হা হুতাশ! হুতাশন হৃদয়ে জ্বালি,
বিরহ বেদনা বিবশ মনে কানাকানি।


মৌ-লোভী সব মৌমাছি গেল কোথা?
বাতাস আজিকে হারিয়ে তার সাথী,
নিঃসঙ্গে খুঁজে ফিরে আাঁতি পাঁতি,
বিবশ বিবাগী ঝাপটায় হেথা হোথা।


ধূসর প্রকৃতি খেয়ালী রূপে ঊষর,
দানিয়া করে নিজের কোল খালি,
আদিগন্ত মাঠ আকাশ পানে ভালি,
কী পাঠ নিতেছে চাহিয়া নিশিভোর?


মেঠো ইঁদুর মাঠে উৎসবেতে মেতে,
কুঠুরি তার ভরতি কুড়োনো ধানে,
দোয়েল ফিঙে ব্যস্ততা নাহি মানে,
তার ক্ষুৎপিপাসার তাড়না অবসিতে।


শিশির সিক্ত মেঠো হয় আল-পথ,
কুয়াশা ভরা সকাল সন্ধ্যা সুবাস,
কিষাণেরা নেয় বুক ভরে নিশ্বাস,
খামারেতে খেলে আগামীর শপথ।


রাখালেরা সাথে বেনু আর ধেনু,
সোনালী ফসলে উপচায় যে গোলা,
সম্বৎসরের অভাব অভিযোগ ভোলা,
বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর পদরেণু।
===================