দিন টা ছিল সোমবার ,তাকে  দেখার জন্য ছুটে যাই পুকুর পাড়ে
ঠিক সময় ৩ টা বেজে তিরিশ মিনিট পঞ্চাশ সেকেন্ড ।
তার পূর্বে আমি একটি দোকান হতে ফুলের মালা কিনে লাল টুকটুকে
খুব যতন করে আমি আমার কাছে রেখে দেই, তাকে পড়াবো বলে ।
আমি দাঁড়িয়ে আছি পুকুর পাড়ের ঠিক উত্তর দিকের বাগানের ধারে
অপেক্ষা করছি অধীর আগ্রহে ,মন টা কেমন কেমন করছে ।


মনে হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে কে যেন,  রঙ ছড়িয়েছে তার আপন সুখে
সব কিছু সুন্দরে ভর পুর,ইতিমধ্যে দখিনা হাওয়া বয় তে শুরু করে ।
মেঘ গুলো জমে ভারি হয়ে আসছে আমার দিকে কেমন জানি
শুভ্র মেঘের খণ্ড গুলি আমায় ছায়া দিচ্ছে,আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি ।
কিছুক্ষণ পর একটু একটু করে ,বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু করে জমিনে
আবার অন্য দিকে মিষ্টি রোদ জ্বল মল করিতেছে ,উদার মনে ।


পূর্ব কোনে একটি ছোট নদী বয়ে গেছে অনেক দূরে নাম না জানা
লোকালয়,নদীতে স্রোত,ছোট ছোট ঢেউ ,মনে হচ্ছে বর্ষাকাল ।
মনে হচ্ছে বাগানের সব কটি ফুল ফুটেছে আজ ,অনেক রঙে
তার পর আমি তাকাই পুকুর জলে ,শ্যাওলার পাতার মধ্যে ।
দেখি শাপলা ফুল ফুটে আছে গভীর জলে মনের অজান্তে
চারিপাশে বগ হাঁস ,পাতি হাঁস খেলা করছে তার প্রিয়তমা র সাথে ।


তখন আমার ঘড়ির দিকে নজর পড়লো, দেখি ৫ বেজে ৪৫ মিনিট
সূর্য টা মনে হয় ডুবে যাবে, ঠিক তার ৫ মিনিট আগে আমি দেখতে পাচ্ছি
নীলাভ উর্ণা ,গায়ে ছিল, লাল কামিজ, ছেলোয়ার টা ছিল সবুজ রঙের ।
হাতে মেহেদি,চোখের মধ্যে ছিল কাজল,চুল গুলা ছিল খোলা মেলা
আমার কাছে এসে একটি লাল ঠোঁটের হাসি হেসে আমায় বলে ,
কথা হবে না আজ তোমার সাথে বাগানের ধারে ,জ্যোৎস্না রাতে এসো
আমার আপন আঙিনায়, দেখবো আমি তোমায় প্রাণ ভরে গানের সুরে ।


তার কিছুক্ষণ পড়ে দেখি আমার বুক থেকে একটি ফুল পড়েছে মাটিতে ,
আমি তখন মালা টা বের করে তাকিয়ে আছি ,ব্যাকুলতা র আবেগে গভীর ধ্যানে ।