মহাদেশের সীমাহীন আকাশে স্মৃতির কণিকা গুলি রেখে গেলাম
পরম আদরে বাহুর আলিঙ্গনে অবিরাম জলস্রোতের ঘোলা মহাসাগরে
সিন্ধুজলে
দূরপ্রদেশে
বিরহ মিলনের নীল অধ্যাদেশে নিখিলের মাঝারে নিমেষে গেরুয়া আঁচলে
পেঁচিয়ে দূরবনে নিয়ে যায় মৃদু মৃদু বাতাসের টানে ভাসিয়ে ছায়ারূপে
মরীচিকাদেশে
চরণতলে
বিষাদের নয়নজলে প্রত্যাশাভরে উল্কার পাণে মহামোহ প্রচ্ছন্ন অঙ্কুরে
বিসর্জনের অপ্রকাশ মুকুলে বর্ষণশান্ত মহাকালের অতলস্পর্শ নাড়ি ছিঁড়ে
তরঙ্গতলে
কেন্দ্রস্থলে
ধুপছায়ার দেহলতায় মিশে যাবো একদিন গড়িমসির ছলে গভীর অনুরাগে
অন্ধের বিস্ময়ে ঘনপঙ্কিল অর্ধনিশীথে নির্মল অনল জ্বালিলাম মায়ারথের বিজন
মহামন্দিরে
শ্মশানের মূলে
একাকী গোপনে নীরবে শয়নে পাপের নষ্ট ফসল বুনিলাম নিজ স্বহস্তে বেশ্যার
ভুবন পরিতাপের কলাগাছের চামড়ার কুটিরে শীর্ণ জীর্ণ অচল মনের নতশিরে
হেনকালে
দীর্ঘকালে
উজান মাঠে দিগন্তের ওপারে লাঞ্ছিতের অর্ধকে কালি মাখে অবোধ হৃদের
সংসারকূলে প্রবঞ্চনার অন্তিমের মৃত্যুগ্রাসে অবজ্ঞার অগ্রসর অপার মহিমায়
অভিলাষে
অভিমানে
লুকোচুরি খেলে শয্যার শৈবালের শূন্যরথে লৌহবাঁধা মারপ্যাঁচ শিকলের দোটানায় আটকে
মোর মহাপ্রলয়ের বেলায় বাঁধনছেঁড়া সুঁই সুতোর মালা পড়ায় দিও অন্যমনে সৌরভ সুধায়।