খয়েরি রঙের ভগ্ন নীড়ে ভরা ভাদ্দুরে পূজার অর্ঘ্য নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি,
মন্দিরের চৌকাঠ ঘেঁষে ভাবলেশহীন স্বপ্নের জালবুনে
নিষিদ্ধ ঝর্ণার সঙ্গম স্থলে
প্রতিবিম্বের চিরন্তন অলীক মোহের নীল দর্পণে
পাবো বলে তোমার দু চরণ অভিলাষের অন্তরালে
ধুরন্ধর হরিহরে ফণীমনসার উদগ্রীব মর্মমূলে
বিবাগী বিস্তার অস্তরাগে
চেতনার অভ্যন্তরে তছনছ পথরেখার স্বতন্ত্র বাগান বিলাসে
জলকণার সমুদ্রের তলদেশে
স্বর্গগঙ্গার শূন্য বেদনায় নিঃশ্বাসের অনুভব দিগন্তের দ্বিধাহীন
গহীন উৎস ভূমির ঝলকানি অস্তাগামী ধূলিঝড়ের সমুদয়ে
বাসন্তী গাঁয়ের উদাস দুপুরে
স্পন্দিত গোপন স্রোতের দৃশ্য সঞ্চারী লিরিক স্কোয়ারে  
রুদ্র নিষ্পিষ্ট স্বেদসিক্ত জনশূন্যতার কম্পমান নির্জন শোক শহরে
নৈরাশ্যের দঙ্গলে জঙ্গলে
দিকচিহ্নহীন ধোঁয়াটে দুলুনি প্রবণ অভিশাপে
মৃত্যুপুরী দংশনে,
জলকন্যার জংশনে,
পাশাণপুরীর নিশাচরের ,
নিঃসীম নিঃসঙ্গ পূর্ণিমার ভ্রুকুটি দ্বিপ্রহরে
নিদ্রাচ্ছন্ন বিপন্ন দগদগে
ভাসমান আকাশের আকর্ষণের হৈমন্তী দীর্ণ প্রভার প্রলাপের
চমকিত রোদ্দুরের ঘোলাটে,
দেখবো বলে তোমার দু নয়নের জ্যোতি
পাবো বলে তোমার ক্ষিপ্র তীক্ষ্ণ পথের ধূলি।