ব্যথার গান কতো শোনাবো কতো আর অশ্রু ঝরাবো বুকের মাঝে
তোমারা কি কোনো কালে জাগবে না বুঝবে না মনের কষ্ট  
মাটি চাপা দিয়েছি কতো মায়ের লাশ
কিসের কারণে ভুলে আছো সব কিছু একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠো
হিম্মৎ নিয়ে মাঠের মধ্যে গর্জন করো
পাপীদের দুর্গ ভেঙে পড়বে বিশ্বাস করো
ক্ষতবিক্ষত লাশের পাশে বসে কাঁদে তার অসহায় বাবা
ফেটে যায় বুকের পাঁজর রক্তে ভিজে যায়
শরীরের প্রতিটি কাপড়ের অংশ ভেসে যায়
বাবার স্বপ্ন গুলি
অনুরোধের হাতছানি দিচ্ছি ফিরে আসো তোমাদের অতীতের গৌরব
গাঁথা নিয়ে
জরাজীর্ণ ফেলে
যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে মাথায় বীরত্বের পতাকা উড়িয়ে
ভেঙে মুছে চূরমার করে দাও অহংকারীদের
গুড়িয়ে দাও আকাশের নীড়ে
পাঠিয়ে দাও গোরস্থানের চৌরাস্তায় তিক্ততার সাথে
গলায় পরিয়ে দাও লেলিহান শিকলের মালা
মনে করেছো অতি সহজে জীবন যাপন পাড় করে দিবে অবলীলাক্রমে
কেনো তোমারা কি জানো না আমরা বীরের জাতি
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে পাড়ি এক নিমেষে
সময় নেই যুবক অতি তাড়াতাড়ি জাগাও মনের প্রত্যয় বেশী দূরে নয়
আসবে তোমাদের বিজয় রক্তের গঙ্গা পাড়ি দিতে হবে অনায়াসে
সন্দেহের অবকাশ নেই কোন রকম ভাবে
জলদি সাজাও কাফেলা জাগিয়ে তুলো তোমার ভাইদের
রঙ মাখিয়ে দাও অঙ্গপতঙ্গে যাতে করে চিন্তে পারো অতি সহজে রণক্ষেত্রে
বেঁধে দাও লাল নিশানা উড়িয়ে দাও যুদ্ধের পতাকা
লাথি মেরে ভেঙে ফেলো দুশমনদের কঠিন প্রাচীর জ্বালিয়ে দাও- উড়িয়ে দাও
পাপিষ্ঠাদের আস্তানা পরিয়ে দাও আগুনের শিকল শক্ত করে
হেঁচকা টান মেরে ফেলা দাও পাহাড় চূড়া থেকে
জাগো জাগো
আগুন জ্বালো
মারো - মারো পথে ঘাটে যেখানে পাবে সেখানে কুকুরের ন্যায়
উড়িয়ে দাও
গুড়িয়ে দাও
চোখের সামনে ভাসিয়ে দাও
গঙ্গার জলে ধুমড়ে মুচ্‌ড়ে ফেলে দাও উঁচু জমিন থেকে নির্বিঘ্নে।