হাতকড়া নিয়ে এসেছি পরিয়ে নিয়ে যাবো আজ তোমায়
আমি বলি অপরাধ কি ? ডাণ্ডা পড়লে সব বেড়িয়ে আসবে,
চলো আগে থানায় চলো----বলে আগে তদন্ত
হবে তারপর,এখন তোমায় কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে
হবে। গ্রেফতারী পরোয়ানা হয়েছে যে তুমি
অপহরণ, ছিনতাই,আঘাত,ধর্ষণ, ডাকাতি ও নির্জনতা
খুন করেছো। তাই গোপনে সংবাদ পেয়ে তোমায়
ধরতে এসেছি,কোন প্রকার অজুহাত চলবে না !
শাস্তি যোগ্য অপরাধ না হলে সাজা প্রদান করা হবে না ।
জবানবন্দি নেওয়া হবে তোমার কাছ থেকে সাধ্য মতো ,
টেনে হেঁচড়ে আমায় আদালতে হাজির করানো হলো,
জজ সাহেব, হাতুড়ির মতো কিছু একটা নিয়ে
বলতে ছিল ,অর্ডার অর্ডার !ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম
শুরু করা যাক। প্রথমতঃ আসামির পক্ষ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হউক।
রাষ্ট্র পক্ষ উকিল দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই ,মহামান্য আদালত, আমায় বে আইনি
ভাবে আটক করা হয়েছে,ষড়যন্ত্র মূলক আমায় ধরেছে
হে বিচারক মণ্ডলী, মহামান্য মাথা নাড়িয়ে বলে এই ছেলে তো
ভালো কথা বলছে! আজ এখানেই মুলতবি ঘোষণা করা হলো,
আগামীকাল যথা সময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা গেলো।
ঠিক আগের মতো শুরু হলো কার্যক্রম,এবার বাদি পক্ষ
এসে হাজির ,জিজ্ঞাসাবাদ করতে উকিল আসলেন
বলেন ইনি কি আপনার নির্জনতা হরণ করেছে ?
সিঁথির সিঁদুর চুরি করেছে ? প্রতিউত্তরে বলে হ্যাঁ উনি আমার
সব কিছু কেড়ে নিয়েছে ,রাতের ঘুম হরণ করেছে -------
অর্ডার অর্ডার ...আদালত এই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ,
সাক্ষ্য মোতাবেক রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী ৩,৫,৯,ধারায়
আসামি কে শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসাবে, ছাঁদনাতলে
নিয়ে ফুলের মালার রশি গলা দিয়ে পনেরো মিনিট, হাঁটতে হবে ---
জরিমানা হিসাবে তিন লক্ষ্য টাকা কামিনির হাতে তুলে দিতে হবে ।
চাইলে ক্ষমা পেতে পারে এটা আদালতের এখতিয়ার নেই ,
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি ...।।সেই পুকুর পাড়ের মায়া ভরা
ললনা যার জন্য আমি আজ শাস্তি ভোগ করেছি ...রায় শুভ হউক ।।