অলস দুপুরে নীরস চোখে তাকিয়ে আছি ,যে পথ দিয়ে
চলে গেছো অনেক দিন আগে। সেই মেঠো পথের সুনীল
আকাশের নীচে বসে বসে ,ভাবী কতদিন হয়েছে তোমার
শিঞ্জনের সিম্ফনি শুনি না। তাই অধীর আগ্রহ নিয়ে সবুজ
ঘাসের শিশির ভেজা উষ্ণ আঁচলে আস্তানা গড়েছি,নিবিড়
নির্ভীক চিত্তে। শ্রাবণের বৃষ্টি ন্যায় নিরন্তর ঝরে আঁখি র জল
ফোঁটায় ফোঁটায় সৃষ্টি হয়,বিষাদের তিমির ডুবন্ত-ভা সন্ত শীর্ণ
সংকীর্ণ ত্রিযামা। শান্ত সিক্ত প্রবল প্রফুল্ল হৃদয়ে চেয়ে আছি,
গভীর অনুরাগী হয়ে তোমার চলে যাওয়ার উড়ন্ত ধূলি কণার
দিকে সচেষ্ট সচল স্বকীয় ভাবে। লেগে আছে এখনো চিকুরের
সেই ,মধুকরী অতিমিষ্টতার মনোহারিণী সুকোমল সুগন্ধ
রাস্তার দু ধারে সারি বদ্ধ বৃক্ষের ডাল পালার পাতায় পাতায় ।
ভাসছে উড়ছে আকাশে বাতাসে, তোমার রৌদ্রস্নান হাসির
ছল-ছল ঠোঁটের কিঞ্চিৎ লাল আভা । শোভমান পাচ্ছে
প্রকৃতির রাজ্যে তোমার নীলাভ শাড়ির আঁচল খানি,একান্ত
ভাবে। জ্যৈষ্ঠের খাঁ খাঁ রোদের মতো আমার অক্ষি দ্বয় তিক্ত
নিশ্চেষ্ট রিক্ত অফলা হয়ে ,ঠিক দাঁড়িয়ে আছি,
তোমার চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে যুদ্ধংদেহী নিয়ে ।