সেই কবে তোমার সাথে দেখা হয়েছিলো নদীর ধারে
সরিষা ক্ষেতে র মোড়ে।
বয়ে চলেছে স্রোত ধারা, যেন শ্রাবণের মেঘে গুলো
জমে বারি হচ্ছে শুভ্র আকাশে ।
নদীর ঐ পাড়ের  গাছ গুলো সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে
মনে হচ্ছে তারা আমাদের কে চিনে ।


এতো সুন্দর মনোরম পরিবেশ ,পাখিদের সুমধুর কলতানে
ঐ জায়গাটা যেন জান্নাতে র বাগান ।
পাশে ছোট একটা বাড়ি আছে, দেখতে ঠিক আগ্রার তাজ মহলের
মত, মিনার গুলি দাঁড়িয়ে আছে আপন মনে ।
আশে পাশে দেখা যায় ছোট একটা ভদ্র পল্লী তিতাস নদীর বাঁকে
সব কিছু দেখে আমি খুব মুগ্ধ ।


আমি মনে মনে কল্পনা করতে ছি ,যে অনেক দিন পরে দেখা হয়েছে
তাকে নিয়ে একটু ঘুরা যাক, উদাস হাওয়ায় ।
আনমনা হতে না হতে ই দেখি সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমি প্রশ্ন করি, যাবে আমার সাথে ।
উত্তর দিলো , হ্যাঁ যাবো আমি তোমার সাথে একাকী সংগোপনে
আমার মন টা ভরে উঠে, ফাগু নি ফুলের মত ।


কি করে দিব আমরা দুজন পাড়ি উপাড়ের নীড়ে ভর দুপুরে
হঠাৎ দেখি একটা নৌকা ভেসে আসছে।
আমাদের দিকে ,নৌকার মধ্যে মাঝি নেই ,আছে শুধু  একটা বৈঠা
উঠে পড়ি আমরা দুজন ।
এক প্রান্তে আমি বসি আরেক প্রান্তে ওই  অমনি করে দখিনা
বাতাস এসে উর্ণা টা উড়িয়ে নিয়ে যায় তার,
বুহু দূর থেকে বুহু দূর, বৈঠা হাতে নিয়ে আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে ।


দেখছি কোমল মতি চুল গুলো, মনে হচ্ছে মুয়ূরির পাখার ন্যায়
এলোমেলো পাপড়ি যুগল ।
এক মুহূর্তেই,তখন আমরা পৌঁছে যাই নদীর ওপারে ,কুঁড়েঘরের নীড়ে ।