চলে যায় শীতের আভা কেটে যায় উষ্ণের ছোঁয়া ভেঙে যায় ফুলদানি
মনের অগোচরে বয়ে চলে হিম হাওয়া নির্ঝরিণী ।
ছেড়ে যায় চন্দ্রিমার আলোক রশ্মি চাঁদের বুক থেকে অসময়ে নেমে আসে
প্রথম আসমান ফেটে আঁধিয়ার দূর অরণ্যে ।
নিভে যায় অবশিষ্ট রক্তিম আলোর প্রদীপ খানি চারিপাশ টা অদ্ভুত অমানিশা
মনে হচ্ছে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে অদূর অখিলের  তরে ।


নীর আসে অক্ষি দ্বয় থেকে তৃষ্ণার জ্বালায় বিষণ্ণ অদৃষ্টে কড়াল ছায়া নেমে আসে
ভর দুপুরে জীর্ণ শীর্ণ কায়া থেকে বৈরাগীর বেসে ।
অস্তমিত যায় অর্ঘমা নিয়তির টানে ব্যাকুল হয়ে তাকিয়ে থাকি পয়ম্বিনীর পাড়ে
বসে আঞ্চান করে মনের সুপ্ত গভীরে ।
পুকুরের ধারে কাটায় দিন একলা মনে বিকেলের করুণ রোদের আভায় ব্যথা নিয়ে
ফিরবে কবে তুমি মিষ্টি হাসির ছলে ।


দিন কাটে তোমারি প্রহরে অন্তরীক্ষ বারিদীর কল্লোলে উতলা হয়ে পরে থাকি
রাস্তার মোড়ে যদি আসার সময় হয় ।
বিহঙ্গম ডাকে ওই তিতাস নদীর বাঁকে আর্তনাদের সুরে কিরণমালী জেগে উঠে
কষ্টের আঘাতে শুধু আসবে বলে ।
বর্হী মনের সুখে পাখা মেলে দাঁড়িয়ে থাকে প্রিয়তমার আশায় বেদনার মলিন
মুখে মালা হাতে নিয়ে গলায় পড়াবে তাই ।


হিরণ পড়ে গলার মাঝে প্রতিদিন অপেক্ষা করে রাত্তিরে প্রসূন ফোটে আছে
বাগানের ভিতরে অসংখ্য একটু তোমায় দেখার জন্যে ।
চলে যায় দিন তোমারি পথ চাহিয়া মহীরুহের পাশে ক্ষণে ক্ষণে ভাবি দ্বিরেফের
দিকে পলক করিয়া আসার সময় হলো বুঝি তোমার ।
অভিরুচি জাগে প্রায়ই কাছে পাওয়ার কিন্তু পাওয়া যায় না ,তার কারণ
একটাই অভিমান প্রচুর পরিমাণে দীক্ষার ।


শ্রোত্রে ভেসে আসে তোমার মায়া মাখা কণ্ঠধ্বনি  দিক্‌পাল হয়ে যায় আমি
বিষাদের অসিত সামনে আসে মনের অজান্তে ।
কত ক্ষণদা কেটে যায় তোমারি আশায় একা একা উঠোনের ধারে পূর্ণিমার
আলোয়ে ডেকে যায় মধুসখা বিরহী মন নিয়ে ।
অপর্ণা পূজার আশায় গেঁয়ে যায় মধুর গান অচলে বসে একলা ধ্যনে শুধু
তোমার জন্যে তোমার আশায় ।


গন্ধবহ বয়ে যায় উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে আবেগী হয়ে উড়াবে ওড়না
তোমার সন্ন্যাসীর জ্বালা নিয়ে ।
কত কিছু চলে যাচ্ছে পাঁজরের চৌকাঠ পেরিয়ে আশীবিষ নিয়ে পারাবারে
তোমার কোন খোঁজ নাই এখনো আসবে কবে হৃদির মণিকোঠায় ।