কাঁচা যৌবনে জোয়ার আনে,
উসুম - কুসুম মৃদু মন্দ মৌনতার টানে,
হরদম নরম উষ্ণ শীতল ;
সুশীল সুগম স্তুতি সুরভী র ঘ্রাণে ।
অমাবস্যার টানে শীর্ণ হৃদয় ছুটে যায়,
তাজা ফুলের গ্রামে
শান্ত প্রফুল্ল প্রসন্ন হৃদ্যতা নিয়ে,
হর্ষ পূর্ণ ভাবে ফিরে আসে তিক্ত মন ।
তৃপ্তির ছলে,তারুণ্যের ভুলে,
ভব নদীর কূলে,তরল বেদনার
মধুর বিরহের মিলন ঘটে ফুল পরী র দেশে আসলে ।
চঞ্চল বিষাদ বিষণ্ণ তীব্র গৌণ ঘৃণ্য,
নিষ্ফলা লাজুক চোখে,মরমী আবেগ
প্রবণ ভালোবাসা জাগবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে,
কুহকের আসক্তের আলসে ।
মুষড়ে পড়া মুহ্যমান ম্লান নিস্তেজ মনস্কামনা দুশ্চ্রাপ্য নৃশংস নিকৃষ্ট;
বিস্ফোরক অক্ষুণ্ণ নিশ্চন্ন প্রচ্ছন্ন বিধ্বস্ত মরাকান্না মনমরা নিয়ে,
যদি আসো;
আমার প্রাণ প্রিয় ছায়া শীতল হেম নগরী ফুল কন্যার উপকূলে,
অঞ্জলি ভরে নিতে পারবে ,
উচ্ছ্বসিত স্বচ্ছ প্রস্ফুটিত স্মরণিকা স্মৃতির মালা ।
মাধুর্য পূর্ণ সৌহার্দ মাহাত্ম্যের স্বাতন্ত্র্য বোধের অপরিসীম সৌজন্য তা ;
আরো পাবে,
রঙিন স্বপ্নের নীল আকাশ;
বয়ে চলা নদীর কূল কূল মিষ্টি ধ্বনি ।
পথের ধারে বাগানের কার্নিশে আঙিনার উদরে ,
ফালা ফালা ফসলি মাঠের  
আঁকাবাঁকা আইলের ধারে ,
অসংখ্য কুসুম কলি ফুটে আছে ।
নির্মূল নিখুঁত শিশির ভেজায় উন্মীলিত হয়ে আছে,
হেলে – দোলে যেমন;
বাগান বিলাস জারুল ডালিয়া কাঠ গোলাপ সন্ধ্যা মালতী;
শেফালি অপরাজিতা কলাবতী শিমুল,
অলকাণন্দা রঙ্গন কামিনী,
মোরগ ফুল বেলেডোনা লিলি,নয়নতারা টিউলিপ গন্ধরাজ পদ্ম,
গ্লাডিওলাস জিনিয়া হাসনা হেনা ফুল ।
শ্যাওলার জলে সবুজ পাতার আড়ালে,
চিমটি মেরে জেগে থাকে কচুরিপানার প্রসূন।
আসলেই দেখতে পাবে,
কারুকার্যের দৃশ্যাবলী মনোরম পরিবেশ;
মেঠো পথ দিয়ে আসতে – আসতে,
ভাসতে –ভাসতে, দেখতে – দেখতে ।
চোখে পড়বে,
লজ্জাবতীর উপশহর ফুল কন্যার গাঁ, অনন্ত পুর গ্রাম খানি।