শতাব্দীর তীরে সমুদ্দুরের পাড়ে,
নীলকণ্ঠের উপবন থেকে তপোবনে
বসে আছি,
কালের খেয়া ঘাট পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে অধীর আগ্রহী হয়ে।
আঁকাবাঁকা আকাশের বুকে পক্বকেশ উড়ে
আবেগের ছলে উল্কা ভরে মেঘের সাথে,
সজল গাঙে র শূলপাণি র আটপৌরে নীলবসনা বজ্র দেহে।
আশী বিষের বেপরোয়া তাণ্ডবে
বেওয়ারিশ নিষ্কলঙ্ক খাঁচার জমিন;
যন্ত্রণার মাশুল দিয়ে গৌরাঙ্গ নিস্তব্ধতার বেড়া জাল ভেঙে চুরে,
পাড়ি দেয় অতল শোক সাগরে।  
মন মাঝি ভেসে যায় বিষাদ সিন্ধু র সজল নদীর দু কূলে
কায়মনোবাক্যে;
কাজল কালো তুষার জল,
মধু মাখা ছায়া শীতল স্মৃতি গুলি হারিয়ে যায়
কলা বেচার ন্যায়।
ভারবাহী জাদুকরী সর্বনাশা সর্বহারা অন্তেবাসী থেকে
শিকল পড়া পুঁতি র মালা নিয়ে আসবে,
অলৌকিক ক্ষমতার বলে ভুজে র ছলে
চোষ কাগজের ক্রোড়পত্র ভরে।
মাঝ নদীর উত্তাল তরঙ্গে ডেকে যাবে,
কর্ণকুহর কলের গান গেয়ে ফিকা লাল
অধিদৈব অক্ষি র অভিমুখে অকাতর সুরে,
অকাল প্রতিকূলে আলসে আসক্ত নিস্তেজ মনে।
নিষ্প্রদীপ দেউলিয়ার নিষিদ্ধ অব্বাহিকায় দ্ব্যর্থক ভাবে,
ছুটে যাবে,
মহাকর্ষের শব্দপঞ্জির সংকেতে র টানে
জল্প্রপাতের সমীকরণের,
আবগারি শুল্ক পাক্ষিক অবাধ পোতাশ্রয় সীমান্তের মনি কার জংশনে।
আচমকা সজোরে টানে হোলি খেলার ছলে
নব শশিকলা র স্বপ্ন গুলি ঝরে পরবে,
হেঁজিপেঁজি হেঁট হেঁয়ালি হুটোপাটি হুল্লোড় হুমড়ি খেয়ে,
গ্লেসিয়ার ন্যায় হিমমণ্ডল হিম –শীতল থেকে হিম সাগরে।