একদিন অনেক দূরে  হাটতে বের হয়েছি  কোন এক বিকাল বেলা
ঐ দিক দিয়ে বয়ে গেছে তিতাস নদী ।
চলার পথে দেখতে পেলাম দূরে কোথাও একটি বকুল ফুলের গাছ
তো আমি হাটতে শুরু করি ঐ গাছটির নিকট যাওয়ার জন্য  ।
ইতিমধ্যে আমার চোখের কোণে ভেসে উঠে হালকা আকাশি রংয়ের উর্ণা
ভাবতে ছিলাম কোথা থেকে আসতে পারে ।
মনের মধ্যে অন্য রকম চিন্তা আসল যাই বকুল তলায় দেখি কার হতে পারে
ঠিক তার পাশে অনেক আগের একটা মন্দির আছে  ।
তখন মনে আসল রামায়ণের সেই শ্রী কৃষ্ণ ও রাধার কথা যা সনাতন ধর্মের উপাসনা লয়
কিঞ্চিৎ পরিমাণ সামনে অগ্রসর হলাম ।
একটু আগাতেই আমার নাকে কেমন জানি মায়াবী কোমল ঘ্রাণ অনুভব হতে লাগল
সূর্যটা যেন ধীরে ধীরে অস্তমিত হতে লাগল  ।
খুব নিবিড় মনে তাকে আমি দেখতে ছিলাম সে তার চুল গুলা ছেড়ে ফুল কুঁড়াতে ছিল
ভাবি যদি কাছে যাই তাহলে এই সুন্দর দৃশ্য টি দেখতে পাব না ।
দারিয়ে আছি ছোট একটি গাছের আড়ালে ঐ মায়াভরা উর্ণা টা নিয়ে
অধীর আগ্রহে মনের অজান্তে নিশ্চুপ নিরালায়।