অঝোর ধারায় চোখের কোণে বৃষ্টি আসে জোয়ার ভাটার টানে
মনের খেয়ালে
অথবা বেখেয়ালে
যখন দেখি রাস্তায় মানুষ দুর্বিষহ হয়ে
কাৎরাচ্ছে হাহাকার করছে
মানিয়ে নিতে পারি না
কেনো আমরা তাদেরকে একটি ঘর বেঁধে দিতে পারি না
কষ্টে বুকের ভিতরটা ফেটে যায় কোথায় যাচ্ছে মানবতা  
ফুট ওভার ব্রিজে এখনো দেখি
কান্নার লোনা জল একটি টাকার জন্য হাত পেতে বসে থাকে
অলিতে গলিতে কেঁদে ফিরে গরীব দুঃখিনী মা ছটফটায়ে
বুকের পাঁজর ভাঙে
অনায়াসে ঘুরে ঘুরে সন্ধ্যা পর্যন্ত খালি বাটি হাতে নিয়ে
ঘরে ফিরে
এই কেমন সভ্যতা জাতি আজ হিংসার দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে
আশ্রয় নিয়েছে অসভ্যতার জগতে  
পারিনা আমি কষ্টের অনুক্ষণ দেখতে
চাই না আমি
এই সভ্যতার গুটি জাল  
দারিদ্র্য ক্লিষ্ট হয়ে পড়ে থাকুক নির্জন ডাস্টবিনে
একটি রুটির আশায় এক মুঠো ভাতের সন্ধানে
ব্যথায় ভরা বুক আমার সহ্য করতে পারেনা
শিশু কাঁদে মায়ের বুকে এক ফোঁটা দুধের জন্যে
কোথায় পাবে দুধ শুকিয়ে গেছে অনেক আগে  
চারিদিকে চিৎকারের ধ্বনি কোথা থেকে পাবে ওরা খাবারের ঝুটা
বিষণ্ণ মন নিয়ে ভাবে একাকী সঙ্গোপনে রাতের আঁধারে
কোন এক গাছের নীচে
গাল বেয়ে চোখের পানি পড়ে শুকিয়ে গেছে দাগ
লেগে আছে মুখের মধ্যে
কেউ নেই তাদেরকে আপন করে কোলে নিয়ে
একটু আদর করবে
খেয়ে না খেয়ে পড়ে আছে জরাজীর্ণ হয়ে  
কি লাভ বেঁচে থেকে যেখানে মানুষের কোন প্রকার দাম নেই
আছে শুধু
লাঞ্ছনা বঞ্চনা
মারা মারি
কাঁটা কাটি দরাদরি দল গত সমস্যা ব্যাপক
অনাহারির কান্না ফুটপাত দিয়ে
যখন হেঁটে যাই
তখন দেখতে পাই
শুনতে পাই
কুকুর ছানার মতো চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে
ময়লার ড্রেন থেকে হাড় তুলে নির্বিঘ্নে
ছেঁড়া কাপড় পড়ে বেড়ায়
বাতাসে উড়ে বেড়ায়
মায়ের আঁচল এলোমেলো চুলে পাগলের ন্যায় শুয়ে থাকে
দোকানের গেটে
পাবলিক টয়লেটের কাছে অথবা চৌরাস্তার মোড়ে
দেশের সভ্যতাকে খামচে ধরেছে জাতির পুরোনো শুকুন গুলি  
মৃত্তিকায় পড়ে আছে জাতির পতাকা
ধুমড়ে মুচড়ে
ছিঁড়ে ফেলে রেখেছে পালিত কুকুর গুলি  
জবাবদিহিতা নেই
কারো কাছে সবাই চোরে চোরে মাসতুত ভাই  
মানবতা আজ চরম শিখরে পৌঁছে গেছে অবলীলাক্রমে
বার্ধক্যের মতো নুয়ে পড়েছে ল্যাম্পপোস্টের মতো
মিট মিট করে জ্বলছে জাতির আলোকবর্তী রেখা
কবে আসবে জাতির জন্য একটি সুসংবাদ
যা কিনা মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করবে
পালটে যাবে দারিদ্র্যের চিহ্ন মুছে যাবে কষ্টের শোঁকগাথা।