ছিন্ন – বিচ্ছিন্ন মহোৎসবে র মহাযাত্রা র এপিটাফের স্বপ্ন ভেঙে,
সিক্ত ললাটের আসন্ন আঁধারে।
মহাকালের জোয়ার - ভাটার দিগন্ত ব্যাপী কালের খেয়া ঘাট পেরিয়ে,
মিলিত হবো;
স্তব্ধতার ভ্রান্তির প্রলুব্ধ নিষ্ফল ভাবনার আকাশে ।
নিরুদ্দেশের বালি চরে,
প্রচ্ছন্ন জোয়ারে
ক্ষয়িষ্ণু খোঁয়াড়ে,
দুর্লক্ষ্য সংকেতে র টানে,
হারিয়ে যাবো উৎকীর্ণ ধ্বংসস্তূপে ।
কালের কীর্তি অনিদ্রা র নির্জন হাটে নিজেকে বিলিয়ে
নিশীথের কুসুম গন্ধী বুকে চেপে ,
জ্বলন্ত প্রলাপ বিভীষিকার অভিশাপে ঘুমিয়ে যাবো;
কালো ছায়ার চেরাপঞ্জির অরণ্যে ।
ক্লেদ ক্লিষ্ট অখিলের ধূসর স্মৃতির জলে
ডুব দিয়ে বিসর্পিল স্বার্থের প্রাচীরে,
মরীচিকার গৈরিক মৃত্তিকার পাণ্ডুরের গন্ধে মিশে যাবো;
গুপ্ত ঘাতক রক্ত –ফুলে ।
বিষাদের নিখিলে গভীর শূন্যতার নীলে
মহাকালের সিঁড়ি বেয়ে ,
বিসর্জনের গর্জনের বুভুক্ষায় পৌঁছব অবলীলাক্রমে ।
উদ্দীপ্ত উৎক্ষিপ্ত স্বেদ সিক্ত রিক্ত নিঃশব্দের
পিষ্ট ক্ষীণ স্পন্দিত সূর্য দীপ্ত রাঙা শ্যামল রক্ত ঝরে ,
নিরন্তর অদৃষ্টের ছলনার প্রভাবে ।
মস্তিষ্কের অস্থি মজ্জায় শুক্রের কোষ গুলি
মুঠি তে ক্ষদিতে লাল পথের অভিসারে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে ,
স্বপ্ন চূর্ণ বিফল নিস্তব্ধ মেঘ রাঙানো তন্দ্রার ঘোরে ।
ঝঞ্ঝা প্রভঞ্জনের আগ্নেয়গিরির প্রলোভনে র ছলে
কুণ্ডলী পাকিয়ে ঊর্ধ্ব সীমানার বদ্ধ ভূমিতে নিয়ে যাচ্ছে ,
তমিস্রা ঘোরের কান্তারের ছিন্ন কুঠিরে ।
উল্লাসে র তালে তালে,
কদম্ব ডালে
ভ্রমর নাচে,
কাজল ঘন বেদনার রঙ দেখে ,
গাঁথা মালা ছিঁড়ে পরছে...
আমার তীর্থ স্থানে একটু আধটু ভাবে গোধূলি লগ্নে ।
যাচ্ছি ...
আমি মহাকালের পথ ধরে ...
ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ পিঞ্জর নিয়ে,
অসীম অন্তিম অনন্ত ঘোলা জলের বীণা পাণি র কুল হীন দরিয়ার মাঝে ।