আমি চাই না তুমি সাজো বহিরাগত সাজে অনুকরণ করে
আমি চাই তুমি বাঙালী সাজে সাজবে, মনের রঙ দিয়ে ।
আমি চাই না তুমি পশ্চিমা দেশ দের কে অনুসরণ করো
আমার কাছ আসো। আমি চাই তুমি বৈশাখীর রঙে রাঙায়
আমি চাই না তোমার মধ্যে কোন প্রকার অশ্লীলতার ছুঁয়া ।
আমি চাই তুমি গ্রামের বধূর ন্যায় লাল শাড়ি,কালো ব্লাউজ,
লাল টিপ,পায়ে আলতা,হাতে লাল চুড়ি,চুলে লাল বেনি ।


আমি চাই না তুমি হাজারো পুরুষের সাথে আনন্দ করো
আমি চাই তুমি আমার জন্য বাগানের ফুলের মালা গেঁথে,
অপেক্ষা করো রাতের আঁধারে,যাতে তোমার আলোয় আমি
আলোকিত হতে পাড়ি । আমায় দেখা মাত্র ঘরে নিয়ে শীতল
পাটিতে বসতে দিতে পারো । এক সাথে কাটাতে পাড়ি জ্যোৎস্না রাত ।


আমি চাই না তোমার মাঝে কোন ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতার ছাপ ,
থাকবেনা কোন প্রকার হিংসা,অহংকার ভরা চাদর মিথ্যার ছলনা ।
আমি চাই তোমার মধ্যে বসবাস করবে কোমলতার স্নিগ্ধতার ঊষা ,
কথার মধ্যে মিষ্টির আবরণ,তোমার মুখ থাকবে পূর্ণিমা চাঁদের মত ।
আমি চাই না তোমার মধ্যে কোন কলঙ্ক থাকুক গভীর অনলে ,
বিরহের আগাতে, রাত্রির অন্ধকারের মদের আড্ডায়,জুয়ার ঘরে ।


আমি চাই তোমার সৌন্দর্য, মাদুলিতে ভরা কিঞ্চিৎ পরিমাণ ভালোবাসা ,
যাতে করে তোমায় নিয়ে পুকুর পাড়ে বসে বাজাতে পাড়ি শ্যামের বাঁশি ।
আমি চাই না তুমি হোটেল কিংবা,বাজারে ,রাস্তায় অথবা, সিনেমা হলে,
কোন নৃত্যের খেলা ঘরে মনের একাকী সংগোপনে অধীর আগ্রহে ।
আমি চাই তোমার সাথে নদীর ধারে মনের গহিনে একাকী বাস করি ,
ভরা জোয়ারে ভাঁটার মাঝে দুজনে দিব সাঁতার স্রোতস্বিনীর সাথে ।


আমি চাই না তুমি বেশ্যার খেলা ঘরে দিনে দুপুরে মেতে থাকো
আমি চাই তুমি শুধু আমায় নিয়ে রঙ্গমঞ্চ করো বাগানের ধারে ,
মনের উঠোনে,একাকী চিত্তে ,বর্ষার দিনে পুকুর ঘাঁটে ।
আমি চাই তুমি সব কিছুর উর্ধে ফেলে আমার নীড়ে চলে আসো
বাঙালী সাজে,দেখবে, কত শান্তি পাও তুমি,আসো কারুকার্য শাড়ি
পড়ে,নকশীকাঁথার মাঠে আবেগের সুরে ভালবাসার তানে ।