অবিনশ্বর জলঝিরি ঝুলন্ত পথ বেয়ে এসে
আমার বুকের মধ্যখানে বসেছে
রেশমি রঙের রুমাল নিয়ে
মর্মরিত ম্লান গভীর গ্লানির কালো পতাকা হাতে নিয়ে
নিস্ফলতার বিচ্ছিন্ন জলধারার মরণ নামক
সীমাহীন শোকাবহ নদীর পাড়ে নিয়ে যাবে বলে
অক্ষুন্নের মূল্যহীন শিকড় ছিঁড়ে
জনমানবের অগোচরে নির্জন নিখিল অস্ত প্রদেশে
নিবে তুলে অন্ধ কারাগারে
স্তূপের পিঠে চড়ে
যুগান্তরের প্রান্তরে
সাপের ফেনার বিষাক্তময়ী নক্ষত্রে বঞ্চনার অকূল চাদরে
একাকী অভিভূত স্ফটিকস্তম্ভে নিস্তেজ স্বর্গের ভিতরে
প্রবেশ করাবে প্রলয়- কম্পনে
শক্তিবলে ভোরের ঝিলিকের টানে অনুরাগের ছলে
চারজন এঞ্জেল এসে
আমার হাতে পায়ে
পিছমোড়া বান দিলো আর শক্ত ভাবে ধরে রাখল ক্ষিপ্ত চোখে
কিছুক্ষনের মধ্যে মৃত্যু দূত আসলো আমার মাথার কার্নিশে
যমটুপি পরাবে বলে অধীর আগ্রহী হয়ে
অপলক ভাবে চেয়ে আছি বিষে ভরা ডানার দিকে
ধীরে ধীরে আমার শরীর টাকে অসাড় করে
উড়ে গেলো সুদূর আকাশে
মালিকের কাছে উদ্যমী হয়ে
আর পরে আছে
আমার মাটির কঙ্কাল মাটির ধুলোমাখা শীতল পাটীতে।