শূন্যতার অমানিশা জ্বেলে প্রাণের তটে বয়ে চলেছো
অবিরাম গতিতে স্মৃতির স্রোতের দীপাধারে
নিদ্রাছুট নাভিমূলে পদচ্ছাপের চিহ্ন এঁকে দিয়ে গেলে
নিষ্প্রদীপ মরীচিকার স্তব্ধতার মানস দীঘির জলে
বিপন্ন বিধ্বস্ত বিচূর্ণিত প্রাসাদে
অপদেবতার ভুজে আস্তাকুঁড়ে
ছিঁড়ে,
ছুঁড়ে,
লাফিয়ে,
চলে গেলে ঝাঁঝাঁ রোদ্দুরের বেঘোরে
ফুলচন্দনের রূপালি জল অঙ্গে মেখে
অবান্তর চিত্তে দাঁড়িয়ে আছি
সর্পিল দৃষ্টির ছলে
তোমার মাতাল প্রকৃতির দিকে
সংকোচে চোরাবালির চিরলীনে
মায়াবী মধুরিমার রহস্যলোকের সন্ধানে বেড়িয়েছি
বহুকাল আগে পাবো বলে তাঁরে
ঘুট্‌ঘুটে আঁধিয়ারে মিশে আছো
নির্জনতার ভ্যাবাচ্যাকা অলি গলির অন্তর্হিত নীলিমার ব্যর্থ প্রেতলোকে
নিমীলিত অনুরাগে অনপমে
মণিকা মালতী কিঞ্চিৎ ঊষার আলো দিয়ে
ঢেকে রেখেছো আপন ছোঁয়ায় ইন্দ্রজালের প্রভাবে
তিতাস নদীর দু কূল ঘেঁষে ।