স্বর্ণিল কুয়াশার গোধূলি বেলায় বিষাদ ঢেকেছে নিমেষে
চোখের কোণে নগ্নতার ঊষা অঙ্গে মেখে অদৃশ্যের মায়াজালে
স্ফূরণ বিচ্ছুরণে
নিঃসৃত নিঃসরণে
স্মৃতির দেয়ালে স্ফীত কম্পমান বেড়াজালে নির্ঘুম চক্রাকারে
উচ্ছল কাঁচা বাঁশের ঘ্রাণে বিক্ষুব্ধ খাপছাড়া মনোভূমিতে আহ্লাদের
বোঝাপড়া বন্দরে
ঘুণেধরা অন্ধকারে
বিষের বাঁশি বেজে উঠে বিস্ময়ের ঘুরপাকে বেদনার টার্মিনালে
ঢেউয়ের নিবিড় স্রোতে নিপুণ প্রসন্ন অন্তরঙ্গে স্ফুলিঙ্গের বুদ্বুদে
অবিনাশী অশ্রুজলে
অপরাহ্ণে ছোঁয়ালে
গোপন রমণীর লালচে ঠোঁটের ফিসফিস শব্দ আসে দূর কান্তার থেকে
মাতাল রঙের ঢঙের তালে শোকশীর্ণ খয়েরি প্লাবনে অদিগন্ত নগরে
নির্ভীক অন্তরালে
তান্ত্রিক দ্বীপে
চরাচরের সেতু বেয়ে নিঃশঙ্ক দৃঢ়তার সাথে ফুলকি নিদ্রার চাতালে
সঞ্জীবিত পিঞ্জরে হিঁচড়ে চলি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের আস্তানায় তৃষ্ণার্ত হয়ে
হরিদ্রাভ চঞ্চলে
বেখাপ্পা প্রলাপে
বালিচরে ভাসিয়ে ব্যাকুল বামনের ঘাটে ছেঁড়াখোঁড়া বর্ষণপ্রত্যাশী পঞ্জিকা
সত্তাময় বিষাদ নিখাদে জীর্ণ শূন্যতার মানস সমুদ্দুরে নিয়ে যায় সাবলীল
উদ্বেলিত চুম্বনে
অপ্রস্তুত কালসন্ধ্যে
নিয়তির কাঁটাতারে ক্ষিপ্ত আঘাতে ভয়ঙ্কর রক্তচুখে কর্কশ প্রহরে ছারখার করে
কাদাখোঁচা বিপর্যস্ত পালকের ডালে ভ্রষ্ট ঘূর্ণি নাচে উজান উতল নৌকার মাঝে ।