তোমার তল্লাটে আমায় একটু – আধটু জায়গা দিবে
চিরাচরিত নিয়মে এই ধরো আদুর সফেদ টাইলস
যাতে করে তোমার উঠোনে,
কিঞ্চিৎ সৌন্দর্যের আবেশ দিতে পারি
দেয়ালের চারিধারে ফোঁটাতে পারি ঝলমল রেখা
গ্রিলের সবুজ রঙের সাথে মিষ্টি ছায়া
অহরহ দিতে পারি হাজী ভাইদের কোমল পরশ
অবসন্ন পথিকদের অম্ল - মধুর প্রশান্তির স্নিগ্ধ ঊষা দিতে পারি
তোমার আস্তিনে আমায় দাঁড়িয়ে থাকার অনুমতি দিবে
আঁজলা – আঁজলি ভরে মনে করো নীলাভ আকাশের মেঘ
অনিন্দিত প্রেমাসক্ত বিলিয়ে দিতে অনাবৃত চরাচরে
যেমন;
মমতাভেজা একফালি রোদেলা ছোঁয়া দিতে
বসন্তোৎসবের রক্তিম রঙ তুলে ধরা
ভাববিলাসী স্বর্গের ফুলের মালা ছিঁড়ে – ছিঁড়ে বিলিয়ে দিতে
মহীয়ান মহাশূন্যের শহর থেকে একপশালা বৃষ্টির হাওয়া এনে দিতে চায়
শাহে নববীর মায়াকানন বাঁধনে আমায় থাকতে দিবে
বুকের পাঁজরটাকে ভিজিয়ে সিক্ত করার জন্যে
এই ধরো রক্ত নদী বয়ে চলা কান্নার ঝর্ণার ছন্দ তালে
বলতে পারি –
মাদুলি দিও ঢেকে রাখিও মহাপ্রলেয়র দিনে
পুনরুত্থান ও শেষ দিনের বিচারে পাশে থাকিয়ো
যদি কপালে মোর লিখা হয়ে যায় রৌরব -রোষাগ্নি
বিদ্যুতের ন্যায় এক ঝলক দেখতে চাই নবীদের সম্রাট সঃ কে
তাঁতেই হয়ে যাবে আমার তৃপ্তিকর সুধা হাসতে – হাসতে ডুবে যাবো অকাল মহারথে ।