উসকো খুসকো এলো কেশী ভাবে, নিস্তব্ধ অনুচ্চার্যে
তন্দ্রার ঘোরে কাটে,
ধূসর প্রপঞ্চের নিষ্ফল ভাবনা ।
আনমনা হয়ে নিদ্রা ভেঙে নিঃস্ব রুক্ষ ভীরু স্বপ্নের ছায়ার দিকে,
নিরুপায় উদ্যোগী হয়ে,
অস্ফুট কুয়াশা ভরা স্মৃতির বাষ্প বিলুপ্ত বজ্রের তরঙ্গে
মিশে যেতে দেখি।
প্রদূম্রজালা নিভে চৌচির পুঞ্জীভূত বনে,
নিরুদ্বিগ্ন অন্তর্নিহিত আগ্নেয়গিরি লাভায় ক্ষদিত ভগ্ন নীড়ে
দুর্বিপাকে বৃষ্টির জলে ,
নিশুতি রাতের প্রগল্‌ভ দীপ্তের দিকে উপচে পরছে ।
সঞ্চিক বসন্তের আঁধিয়ার ঘোরে ,
জীবন প্রদীপ বিক্ষত দেহ উল্কার ন্যায়
ধাবমান নক্ষত্রের উড়ন্ত নিঃস্পন্দে হেলে দুলে ,
সিঁড়ি বেয়ে স্বর্গের দ্বার প্রান্তে অধীর গতিতে ছুটে চলছে ।
সমুদ্র পেরিয়ে বিন্ধ্যাচলে হেঁটে চলে,
উঁচু ত্রিপলের দিকে ,
নিরুদ্দেশের সুপ্ত হীন সন্ধ্যার রক্ত স্রোতের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে
সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে র উচ্ছিষ্টের ছলে ।
ছোঁ মেরে স্পর্শ গভীর চুম্বন কেড়ে নিয়ে যায়,
স্নায়ু কম্পিত ভ্রান্তি দুষ্ট অলৌকিক সুরভী উদ্বেল শ্লথ অদৃষ্ট চক্রের
ছলনা ময়ী কুমারী ।
ফুরফুরে প্রজাপতি অপরাহ্নের সবুজ ঘাসের মাঠ পেরিয়ে,
প্রাচীন দেয়ালের চিত্র ভেঙে,
অব্যক্ত তরুণীর প্রস্রবণ অশ্রুকণার মরুদ্যানের অস্তিত্বে;
মিলিত হওয়ার জন্য ব্যাকুলতা র প্রকাশ করিতেছে অবসন্ন মনে ।
শূন্যতায় কুঞ্জ টিকায় ছায়াচ্ছন্নে ঘিরে রেখেছে,
আমার নিঃসঙ্গ হৃদয়ের
প্রস্ফুটিত উন্মোচিত উৎফুল্ল কামনার সুনীল আকাশ কে ।  
ভেজা চাহনিতে অবিন্যস্ত টুকরো টুকরো প্রহর গুলির দিকে,
অস্পষ্ট অস্তাচলে খুসখুস ভাবে
হাবুডুবু আলোর ফোয়ারা ছলে চেয়ে থাকি,
ভ্যাবাচ্যাকা সীমানার নীল কুঠিরে ।