গত রাত থেকে বুকের তীব্র ব্যথা বেড়েছে,
অতিমাত্রায়;
জমে জমেবিশাল পাহাড় হচ্ছে
হৃদপিণ্ডের ভিতর যন্ত্রণায় ।
কাঁপন উঠিতেছে,
সমস্ত শরীরে বিষম বেদনার আহাজারি
শুনি হৃদয়ের মৌনতা থেকে,
কষ্টের প্রহর গুনি রাত্রির আঁধারে ।
এখনই বুঝি যেতে হবে,
পৃথিবীর মায়ার জ্বাল ছেড়ে ওপাড়ে
ঘুম আসে না গভীর রাতে জেগে থাকি,
একা একা অন্ধকারে ।
ধীরে ধীরে চোখের পাতা ছোট হয়ে আসতেছে
মনের অজান্তে,
চেষ্টা করে যাচ্ছি খুলে রাখার জন্য একটু একটু করে
অনবরত ... ।
ঠাণ্ডায় স্তব্ধ করে দিচ্ছে
দেহের অনেকটা শিরা উপশিরা,
রক্তের কণিকা গুলো চিৎকার করে,
বলতে থাকে ছেড়ে দাও প্রতিটি বাঁধন ।
মাটিতে শুয়ে কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে যাচ্ছি
ভেসে যাচ্ছে প্রতিটি বালি কণা,
ডেকে যায় কে জানি কানের নীড়ে
এসে প্রস্তুতি নাও একাকী ।
যেতে হবে আজই গহীন বনে
উলট পালট করে নীরবে নিভৃতে,
ভেঙে যায় সব কিছু মুহূর্তের মধ্যে
চুরমার হয়ে আসতেছে অতি নিকটে,
গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে,
যাচ্ছে ভেবে পাচ্ছি না কি করবো ইতিমধ্যে ।
রাতের আঁধারে,
পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ভালো লাগে
ভরসা পাই ,
কেউ থাকুক বা না থাকুক শিয়রে যাওয়ার লগ্নে ।
বৈ টা বাইতে হবে,
একা একা নির্জনে নদীর মাঝে ঢেউয়ের সাথে
কূলে উঠতে পারবো কি না ,
জানা নেই ,তবে আশার বাণী আছে।
চারিদিকে প্রদীপ হীন ঘোর অন্ধকার
কুয়াশায় ভরপুর লোনা জল
বিক্ষিপ্ত আকাশের নীচে,
শ্যাওলার ন্যায় ভেসে চলা এক পথিক ।
এতো কিছুর মধ্যে দিয়ে ই চলে যেতে হবে
অজানা শহরে,
কোন এক অবেলায়,
তাকিয়ে থাকবো দু নয়ন দিয়ে অসময়ে ।
তারপর সুন্দর একটা ভোর হবে,
সূর্য উঠবে শিশির ঘাসে চিকচিক করে
দেখতে পারবো না;
শুধু সময়ের অভাবে,
লিখতে পারবো না জীবনের শেষ লেখা
গাইতে পারবো না জীবনের শেষ একটি গান।
অজ পাড়া অচেনা গ্রামে রেখে আসবে,
ভর দুপুরে অচিন পুরে ।
আড্ডা দিতে আসা যাবে না,
সেই চিরচেনা বকুল তলায় পুকুর পাড়ে ।