সূর্যটা আজ ভালো ভাবে কিরণ দিচ্ছে আমার বারান্দায়
মনের মাধুরী মিশিয়ে
তখনো আমি উঠিনি ঘুম থেকে,
হঠাৎ আলো এসে পড়ে চোখে
তাড়াহুড়া করে ব্রাশ নিয়ে আমার হাতে গড়া একটি বাগানে যাই  
কোন ফুলের গাছে প্রথম ফুলটা ফোটে ,আমি দেখার জন্য ব্যাকুল
যেয়ে দেখি যে গাছটা থেকে ফুল ফুটেছে
সেই গাছটি ছোট এবং নগ্ন
কিন্তু ফুলটা অনেক সুন্দর ও সুশ্রী
সেই গাছটি হচ্ছে সবার পরিচিত বেলি ফুল
আমি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি
যার গোঁড়ায় কখনো এক ফোঁটা জল ঢালিনি
আজ সে আমাকে উপহার দিলো
একটি মায়া ভরা ঘ্রাণ আলোকিত করেছে আমার বাগানকে
তাকে নিয়ে আমার কোন প্রকার ভাবনা ছিল না
সে এখন আমার মৌনতায় স্থান করে নিয়েছে
কথায় বলে যাকে তুমি করেছো মনে প্রাণে আরাধনা
সে তোমাকে দিয়েছে বিষে ভরা দান ।
যাকে তুমি করেছো চূড়ান্ত পর্যায় অবহেলা
আজ সে তোমাকে দিয়েছে সুখের গান
মত্ত হয়ে করেছো প্রতিটি মুহূর্তে বেদনার রোল
উজাড় করে আদর করেছো পুলকের তানে
চিন্তা করোনি তাই না !
যাদের কে নিয়ে তুমি নিদ্রাহীন ভোর দেখেছো
আজ তারা তোমার সাথে করেছে ছিনিমিনি খেলা
অর্ঘ দান করেছো জ্যোৎস্না রাতে সন্ধ্যা বেলায়
কি অদ্ভুত!
পৃথিবী ভালবাসার প্রতিফল ধূসর কালো মেঘের ছলনায়
মিশে যায় অবলীলাক্রমে
কি পেলাম
আমি কি দিলাম
তাকে এতদিন ধরে
মনের ঘরে পৌষ মাসের মাঘের সন্ন্যাসে
আসলে কোন কোন সময় তার বিপরীত চলে
গভীর ধ্যানে সিক্ত ব্যথা নিয়ে অজানা শহরে
মানব জীবনের বেলায় তাই–ই ঘটে
যখন তুমি যাকে পূজা করো সেই তোমাকে ছলনার বোঝা দেয় ।