সময় এখন কাঁটা তারে বাঁধা পড়ে আছে বদ্ধ কারাগারে
জরাজীর্ণ শুঁকুন গুলো আঁচড়ে ধরেছে বর্তমান স্বাধীনতা কে ।
নাম না জানা লেজ কাটা শিয়াল খামচে বেচে আছে রাত্রির গুহায়
জ্বলন্ত প্রদীপ নিভে যায় অজানা ঝড়ের তাণ্ডবে কোন এক অসময় ।


বেদনার মরুভূমি বুকে নিয়ে কাঁদে তপ্ত বালি চড়ে সূর্য দেখার লক্ষে
কিন্তু তাও হয় না কোন কারণে, জীবন টা নিয়ে চিন্তায় থাকে প্রতিটি ক্ষণে ।
আজ এই শহরে মানুষ বাস করে না!করে উদ্ভূত এক অপরিচিত জীব জন্তু
যাকে পাবে তাকে ই খাবে বাঘের থাবার ন্যায় উল্কার নীড়ে অন্ধকারে ।


বাণী শুনিয়ে কি লাভ হবে যাদের লক্ষ্য বস্তু প্রতি নিহত মৃত্যুর নৃত্য দেখা
কান পেতে শুনি ধর্ষিতার কাতর মাটিতে পড়ে আছে টুকরো জামা ।
দেখি মায়ের আঁচল নিয়ে টানা হেঁচড়া করে ভর দুপুরে জনসম্মুখে
কি হবে এই জাতির ভাগ্যে,যন্ত্রণার আওয়াজ আসে দূর অন্ধকার থেকে।


লুকানো ব্যথা নিয়ে ঘুরে ফিরে বনে জঙ্গলে মাঠে ময়দানে বট তলার মূলে
পারিনি সুখ এনে দিতে কোন কালে,কোন এক বিধবা মায়ের বুকে ।
এক মুঠো ভাত তুলে দিতে পারিনি তীব্র আহাজারির মুখের মধ্যে
কত দীক্ষা রে জীবন অতিবাহিত হবে কে বা জানে পাহাড়ের চূড়ায় ।
নদীতে ভেসে চলা রক্তের স্রোত,হাঁটে বাজারে শিক্ষাঙ্গনে রক্তের দাগ
দেখতে হবে কত কাল ধরে । ভাই বন্ধুর মিনতির কণ্ঠের রুদ্ধ শ্বাস ।


জাতির পতাকা বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় মুক্তির আশায় পথে প্রান্তরে
একটু উষ্ণ স্নেহ প্রীতি পাওয়ার লক্ষে জেগে থাকে মশাল জ্বেলে রাত্রি গুহায় ।