ধূসর কালো মলাটে আশীর্বাদের আঁচল মুড়িয়ে মহানন্দের অবসাদে
প্রান্তদ্বারে প্রদীপ জ্বলে কারণে অকারণে অস্তলোকের শিশিরজলে
স্বর্ণকমল শূন্যপাণে
সংকীর্ণ কোলাহলে
লোকান্তরের বিকীর্ণ যুগান্তরের মহাপ্লাবনের মন্ত্রতন্ত্র গর্জে উঠে নির্জন
উপকূলে বিরহের মালা গেঁথে পথের মাঝে হারিয়ে যায় উদ্ভাসিত
সন্ধ্যার দিনান্তে
জীবনের বাঁকে
নীরস পাষাণ দুয়ারে সাঁঝের আঁধারে মিটিমিটি আলো দেয় ক্ষণিকের
তরে ব্যর্থ ফুলের ঘ্রাণের আশায় চখাচখির চুপিসারে লুকোচুরির খেলা
বসে নদীর তীরে
উজান মাঝীর টানে
ধূলিত কারাগারে লীলা উড়ে নষ্ট প্রেমের ফাঁদে পরে মহাদ্রিতলে নিবিড়
ভাঁজে আঁকাবাঁকা মেঘের কলরোল তরঙ্গের ভাদরে তৃণরোমাঞ্চ মর্মের
অলিগলির পুলকে
অরুণ ভুবনে
গন্ধবিধুর নীলাম্বরে নন্দনরাগের ক্রন্দনে সিঞ্চিত সমীরণে অখণ্ড সুরের
ধ্বনি বেজে উঠে সায়াহ্নবেলার করিডোরে আসন্ন পশ্চিমসীমায় রক্তিম
মৃত্যুর করাল গ্রাসে
ঝড়ের অভিসারের
নিলাজ কাননভূমির অচল নিরাসক্ত ভয়াতুর খাঁচার উদার তিমিরপ্রান্তে
লৌহডোরে অনলের ললাটে বাঁধিয়া আকাশ ফাটে ঝিরি ঝিরি হাওয়ার
কারণে কাঁপিয়া
থরথর ঝাঁপিয়া
নিরবধি সুখের তরী ডুবে কালক্ষণের অশ্রুর সাগরের কূলে একলা সঙ্গী
বিহীন নিয়তির রুদ্ধদ্বারে ক্ষুব্ধ আশীবিষের ভুজে পরে প্রাণ যাবে রোষানলে – শোকানলে।