সাদা কালো মামুলি জীবন ভাঙাচোরা খাটে বারান্দার পাঁজরে
নিথর হয়ে শুয়ে থাকবে নির্বিকার পুতুলের ন্যায় সংকীর্ণ ধুলোর
মাঝে নিঃশব্দ ভাবে
একঘেয়ে আর্তনাদের স্মৃতি নিয়ে
প্রাণপাখি যাবে উড়ে স্বর্গ বাড়ি আজরাইলের খপ্পরে পরে নিশ্চুপ মনে
কাঁপুনি ফোঁপানি খসখসানি বেড়ে উঠবে দ্যুতিময় শরাব প্রাণ করার
সাথে সাথে ঝুঁকে ঝড়ে
তোলপাড় হবে আবেহায়াতের টানে
প্রশান্তির গালিচায় চড়ে অবসন্ন শূন্য কঙ্কাল ছুটবে যমজ দ্বীপে
উজ্জ্বল রঙের ফিনফিনে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে মাটির সিক্ত শীতল পাটীতে
রেখে আসবে অনায়াসে
শোকের উৎকণ্ঠার ছলে
নিষ্প্রদীপ গোরস্থানে ঝিঁঝিঁ পোকারা জ্বালবে আলো নিশীথের অগোচরে
বংশীধ্বনি বেজে উঠবে উষ্ণ প্রণয়বাক্যে আচানক সজল চোখে তাকিয়ে
থাকবো মেঠো নির্জন
পুষ্পরেণু দূরান্তরের প্রান্তরে
তাচ্ছিল্য ভরে হৃদপিণ্ডের চঞ্চুতে থরথর বিভীষিকার দ্বিপ্রহরের সাথে
আলিঙ্গন করে সুষমা সুচারু ভঙ্গিমায় বিষম রূপান্তরিত দুঃস্বপ্নাকীর্ণ
ভূতলঘাটে প্রসারিত বায়ুস্তরে
রেশমি পাখা মেলে
শ্যামল নীল দরিয়ায় উড়াল দিবো অসংকোচ প্রফুল্লে ঘাতকের বন্দর
ছেড়ে অন্তহীন প্রকৃতির দ্বীপপুঞ্জে সুডৌল জলপরী নর্তকীদের নেশায়
হানবে আঘাত চারিপাশে
ভাঙবে ভেলা সুখের তানে
কাটবে বেলা থরোথরো গভীর অনশনে লুণ্ঠিত অঞ্চলে নরকলোকের
ভক্ষকে নিঃসঙ্গের অস্তরাগের অন্তর্লীনে থাকবো একা ঘেরাটোপের বালিয়াড়িতে।