ক্লান্তির কাঁটা তারে উন্মাদের কারাগারে,
পুষ্পের ছায়া ভূমির ভূকম্পন অন্তরালে ধূমায়িত হন্তারকে
নগরের নিসর্গ অর্ঘ্যদানে নিশ্চুপ নক্ষত্রমণ্ডলীতে,
ভূমণ্ডলের নৃতত্ত্ব শিল্পের কারুকার্যে সন্তর্পণে অন্তঃপুরে।
রামধনুর রঙিন ঝাঁ –ঝাঁ জ্যোতি দিয়ে
খুঁজি প্রভু তোমার দর্শন পাওয়ার লক্ষ্যে,
জ্ঞাতসারে অন্তসারে হৃদি র অজান্তে ।
নির্বিকার নিরঙ্কুশ আঁধারের অগ্নিময় স্মৃতি বিভ্রমে ,
ছিন্ন মস্তিষ্কের ভয়ানক নিদ্রাবিষ্ট ;
নিদ্রালু নিধন নিনাদে মধ্যরাতে মধ্য মিলে
কস্মিনকালে গোরস্থানের নৈশ প্রহরে।
মাংস বিহীন কঙ্কালে র গৌণ করিডোরে
বিস্বাদের পথ ঘাটে মাঠে ধূসর প্রান্তরে,
চন্দ্র লোকের অন্দর মহলে।
জনাকীর্ণ নিশ্চল উদ্‌ভ্রান্ত চৌরাস্তা র নিষ্করুণের ধ্রুব লোকে
নন্দন কাননের নধরে ধ্বজাধারী র সর্বনাশা ধোঁয়াটে,
ধৃষ্টতা র ময়ূরকণ্ঠী রঙের ভজনা লয়ে
লণ্ডভণ্ডের ছায়া বিলাসী দ্বিধাগ্রস্ত উড়নচণ্ডী র ভূপতিতে।
বিষুব রেখার ব্যঞ্জনা র অসুরে,
রক্তাক্ত শূন্য ঠোঁটের লাজুক গলিপথে,
ঘুমন্ত যৌবনের অযান্ত্রিক দেদীপ্যমান জন্ম শহরে
দুষ্প্রাপ্য দুর্লক্ষ্য অশুভ গ্রহে দুরন্ত ঘূর্ণি জলে,
থমকানো ত্রিলোচনে ত্রি লোকে ত্রিবেণী র গভীর তল দেশে ।
জং ধরা চরাচরে নিভৃত শঙ্কা প্রদেশে,
ট্র্যাজেডির ট্যাণ্ডলে আঁটসাঁট কলের লাঙলে,
পাঁশুটে চন্দ্রিমায় ঊর্ধ্বরোহণের সুপ্রাচীর নিষ্প্রভ বিস্তীর্ণ প্রেতচ্ছায়ায়
কালের বিপন্ন নিকেতনে অগ্রজের নিরর্থক দগ্ধ ত্বকে ।
নন্দিত কল্পনায় জল্পনায় মনস্তাপের
আত্ম দানের কীর্তি র মহা সিংহাসনে,
এঞ্জেলের উদ্ভাসিত ঝুলন্ত পাখার নীলিমায় অস্তগামী
সূর্যের লাল আভার জীর্ণ সবুজ কুঠিরে।
উত্তাল তরঙ্গের তাণ্ডবে র তুমুল মর্চে –পড়া শিরাপুঞ্জের মঞ্জীরে
বেড়াজালে র শংকিলে সুমেরু থেকে কুমেরু উত্তোলিত অরণ্যে,
উপচে-পড়া যমদূতের মৃত্যুর সন্নিকটে র ভিড়ে,
অন্তর্ভেদী মন্ত্র পাঠে নিঃস্পৃহ অবান্তর যূপকাঠে স্তব্ধ দাবানলের বন ভূমিতে ।
বশম্বদ স্বর্গ –নরকের তটের স্রোতে বটের মূলে,
অবলুপ্ত লীলায়িত লোলুপ মৃত্তিকায় ;
খুঁজি তোমায় উম্মাদ কংক্রিটের ন্যায় বিশ্বচরাচরে
মহাশূন্যতে মহার্ণবে মহীসোপানে,
অভিকর্ষের নিষ্পিষ্ট নিঃসঙ্গ ভ্রুকুটি তৃপ্তিকর অসিতের দ্বিপ্রহরে।