বাবা
বাবা,
তুমি কেমন আছো?
কতদিন দেখিনা তোমায়
তোমার চোখে দেখিনা আমায়!
প্রথম প্রহরে আধো আধো আলোয়,
স্নেহময়ী মায়ের সমরেখায়,
মহীরুহসম শীতল ছায়ায়
জড়িয়ে রেখেছিলে কী অভিনব মায়ায়!
আমার সকল উদ্বেগ আর ক্লান্তি,
নিমেষেই সবের ঘটাতে সমাপ্তি ।
মুছে দিয়ে সকল ভ্রান্তি,
এনে দিতে আমায় নির্মল প্রশান্তি।
বুকের মাঝে সব যাতনার অনল,
তোমার সকাশেই খুঁজে পেতো শ্রান্তির জল।
এ কঠিন পৃথিবীতে করে নিতে আবাস,
লঙ্ঘিত করে সকল প্রতিকূল বাতাস,
গড়তে হয় তিলে তিলে স্বপনের আকাশ।
খুঁজে নিতে হয় নিজের পদ্মপলাশ।
তুমিই দিয়েছিলে সেই সাহস আর প্রেরণা,
নীলাচল ভেদ করে মেঘ ছোঁয়ার চেতনা,
কাঠিন্যের আবরণে ঘেরা তোমার শিক্ষণ
জ্ঞান হারা ভূমিতে করেছে আলোকের সিঞ্চন।
সব সুপ্ত বোঝাগুলো ধরে,
বুকের নিভৃত কক্ষে,
কাজ করে যেতে নীরবে,
সবার অলক্ষ্যে।
সব অন্ত:শীল বেদনাকে করে ম্লান,
তোমার আঁখির হাসি ছিল সদাই বহমান।
সততার পথে ভিড়িয়ে তরী,
ছায়া দিয়ে গেছ মোদের শত ব্যথায় জর্জরি।
বাবা, তোমার শরণে ছিলনা ভয়,
ছুঁতে কাঁটা ভরা উৎপল,
সব কঠিন গুলো হয়ে যেত তরল,
উত্তরিত হতো জীবনের যত সহজ সরল।
বাবা তোমার চোখেই আমার প্রতিভাস,
তোমার প্রতিচ্ছায়ায় লালিত সত্ত্বার বিকাশ
আজ সকল শব্দশীলতার মাঝে,
আমাদের জগতে বিরাট শূন্যতা।
সকল সবুজের মাঝেও
নেই সেই মমতার পেলবতা।
শুধুমাত্র একটি দিনে নয়, প্রতি নি:শ্বাস অনুক্ষণে,
জড়িয়ে আছ বাবা তুমি আত্মার অঙ্গনে।
নক্ষত্র হয়ে অবিরল
করছো মোদের আলোকিত
হারানো প্রহরের স্নেহজল
আজও মোদের করে স্নাত
বাবা তুমি ওপাড়ে অনেক ভাল থেকো
আমাদের এমনি করে মমতায় জড়িয়ে রেখ
মহাপ্রভু যেন তোমায় রাখেন সদা আলোর ভুবনে
শান্তির নির্ঝরে সকল নিঃস্বার্থ জোনাকীর সনে।।