বিংশতি বছরের যুবতী হয়েও
ছিলাম কৃশকায় কিশোরীর মতই;
তোমাদের চার দেয়ালের
শো পিস হবার মতই পুতুল পুতুল
রূপ ছিল আমার।


বুদ্ধিতে বুদ্ধু, তোমার পরিভাষায়;
তিরস্কার আর ভতর্সনা পুরস্কার আমার-
তোমাদের চতুর-সভায়।
বুদ্ধিদীপ্ততা দীপ্যমান হলনা, হল
নির্বাক বুদ্ধিমত্তার কবর।


সরলতা মাথা কুটে মরে 
তোমাদের অভিসম্পাতে।
নিঃশ্বেষে দান করে গেছি তাও
ঠোঁটের হাসি; অন্তর্জ্বালা যেন
কাঠ কয়লার লুকান আগুন।


মাথায় কোরান ঠেকিয়ে হাঁটালে, 
তোমাদের অদ্ভুত সব রীতি, 
বানোয়াট ; যদিও বললে তখন
শূলে চড়াতে।ক্লান্ত পপদযুগল
টেনে করি গৃহ-পদার্পন। 


অনিশ্চয়তার ঘোর অমানিশায় 
নিশি তে পাওয়া দেহের মত
আমার দেহও টেনে হিঁচড়ে  
পার হল, একের পর এক স্তর।
বিনিময় তার শত বর্ষের ক্লেশ। 


ছুঁয়েছ, ভাল না লাগিয়েই
দেখেছ, না দেখার ছলেই।
কাচা মাংসের ভোজ সভার আয়োজন
করলে যেদিন; জানলে না
সেদিন থেকেই আমি শেষ।