খনিক কাঁদে মন আমার আবার ভাসে সুখের ভেলায়
এ কোন আজব মায়ায় আঁকছি তোমায় আলো-আধারের খেলায়।
পরান পাখি, ইচ্ছে করে তোমায় আমি মনমন্দিরে লুকিয়ে রাখি
জ্যোৎস্না-স্নাত নীরব সন্ধ্যায় প্রনয় আসুক, পূর্ণিমার ধসে
অনায়াসে ছদ্মবেশী চোখের দূরত্ব ঘুচুক, অপ্রাপ্তিতে প্রলয় আসুক
বিপন্ন মেঘের শহরে ভিড় করেছে বৃষ্টি, শেষ বেলাটুকু দুর্নিবার
মাঝে মাঝে ক্লান্তিহীন পরাজয় কারুকার্যময় উদ্ভ্রান্ত এই নীল শহরে
অপব্যয়ী কল্পনায় খুঁজে ফিরে নিঃশব্দের বৈষয়িক রাত।
শয়নে স্বপনে, ব্যস্ত দিন যাপনে তনুদীপ জ্বালি, স্বপ্নে বিভোর
অগণিত নিদ্রারহিত জাগরণ, চিরস্থায়ী গন্তব্য খুঁজি তোমার জ্যোতিতে
মহানির্বাণের অবিরত অশান্তির প্রত্যয়প্রবণ বিনির্মানে বিদ্যুতের গতিতে
পরাজিত হতে চাই, অনিবার তোমার মাঝেই বিলীন আদি থেকে অন্ত,
ছড়িয়ে দাও দ্বিধা, ছিটিয়ে দাও দ্বন্দ, উদ্ভাসিত হও স্নিগ্ধ হাসিতে
সর্বভূক প্রেমে দুপুর সন্ধ্যা নিশীথে, শরীরে জেগে উঠা নিষিদ্ধ আলিঙ্গনে
জেনো, তোমার শরীরে সযত্নে বিলিয়েছি সমস্ত প্রেম, অব্যর্থ নির্যাসে
যত্নে রেখো নিজেকে, আমার ভালোবাসার সকল জল যে ওইখানে।