আমি এক বিষাক্ত কেউটে ।
নেই চোখে নিদ্রার ঘুম ,
যা কিছু পাই ,বাজাই দুম ধুম ।
খেয়ে যাই চেটে পুটে,
হারায়েছি সেই কবে-
মা’মরমীর ভালোবাসার চুম ।
বাজে হৃদয়ে বাজে-
অন্তকুমারীর আগমনী রুম ঝুম ।
প্রেম নয়,প্রেমেরই মত,
প্রিয়ার সনে মাথা রেখে-
নিজ বুক পেতে নিরালায়,
একান্ত আপনায়
রয়ে যাবো এই অক্ষত বসুধায় ।
আমি এক বিষাক্ত কেউটে ।
কোথা হতে,কি করে,
কোন কুসুম কুমারীর
জঠরের ভ্রূণ হতে ,জন্মেছি -পেটে ?
কালের ঐ অসীম নীলে,
জঘন্য এক ত্রাস সৃষ্টির মতো
রুগ্ন সমাজ ভগ্ন আসরে
গোপন কর্মের চিত্র করি নিবেদন- ঘাটে ঘাটে ।
নিখিলের এই মানচিত্রে
মুক্ত আকাশ চিলে
নিত্য দিন চলি ফিরি ,
শঙ্কিত মন অঙ্গনে ।
জীবন যখন জ্বালায় দাহন ,
স্রোতের নিপীড়নে কাটে ফোঁড়ন ,
দামামায় বাজে
বিবেকের গোপন যজ্ঞ- ললাট পটে ।
আমি এক বিষাক্ত কেউটে ।
আগামীর যত দিনক্ষণ,
স্বচ্ছ স্বপ্নের বোধন
ওহে জীবন !
কী কারণে এই মহৎ আসরের জগত চরাচরে ,
ঘটেছে যে তোর আগমন- ধরণী তটে ?
বাঁধন খুলে দিলে ছুটে আসে
শাসনের ছলা-কলা কৌশলে,
জানা-অজানা নোংরা পাপকে করতে -গ্রহণ ।
সময়ের পবিত্র গতিপথে,
মানব পরাণে হৃদয় বৃত্তে আজও করে যায় যে ,
স্বার্থ সারথির মতো বিচরণ ।
বুকের এ ধরায় জানায় সম্ভাষণ ।
ক্ষীণ চেষ্টায় যা কিছু ঘটে যায় ,
শত সহস্র অজানা প্রকৃতির বহতায়
সীমাহীন স্পন্দনে ,
বিবেকের নগ্ন চিত্তে মহা বৃত্তে,
তুলে যদি স্লোগান মিছিলে
আত্ম দহনে বিস্ময় কাঁপন !
হলেও হতে পারে
দীর্ঘ সময়ের নোংরা পাপ মত্তের ,
সমস্ত কলঙ্ক মোচন ।
আমি এক বিষাক্ত কেউটে ।
অনাদি সাগর জলে
ঢেউয়ের ভুবন হতে,
আত্মঘাতী মধ্যরাত
আতঙ্কে ঘন ঘন বলে যায়,
মানব মানবীর যত সব সৃষ্টির বন্ধন,
কোথা হতে কী করে যে হল উত্তরণ ?
এ দু’হাত দু’চোখ দু’ঠোঁট,
চারু কণ্ঠ সীমাহীন সীমানায়,
প্রতি নিয়ত নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে
উদয়নি চন্দ্র সূর্যের মতন ,
যদি থেমে যায় ক্ষণিকে কিছুক্ষণ ,
তুমি আমি পূরব সরলী ভুবন ,
আরাধনে যা করে চলেছে আলিঙ্গন,
ভেবেছো কি কখনো ! তা হবে কেমন ?