অভিমানী 'মা' আমার,
কারাগৃহে বসে দিয়েছি কত পত্র তোমাকে-
একবার ও দাওনি সাড়া,
তোমার হীরের টুকরো দুষ্ট খোকার ডাকে।
কোন দিন দেখতেও এলে না,
জানতেও চাইলে না-
খোকার হৃদয়ে কি এত যন্ত্রণা !
শুধু কারাতটে বসে,
স্বার্থ পরের মত-
তোমার স্নেহ ভরা কোলে
ফিরে যেতে চেয়েছি ।
গরবিনী মা' আমার,
রুদ্ধ কক্ষে খোকার কষ্টের
মর্মর ধ্বনি কি-
একবারও শুনতে পাও না ?
তৃষিত বুক কি-
ক্ষণিকের লাগি নাড়ির ধনকে,
আঁকড়ে থাকতে-
হূ হূ করে কেঁদে উঠে না ?
ফেলে আসা টুকরো স্মৃতি চিহ্ন গুলো কি
বিলাপ ছলে-
মনের আঙ্গিনায় ছবি আঁকে না ?
অভিমানী মা আমার,
দন্দের প্রাচীর ভেদ করে,
দিতে যদি দেখা প্রভাত কালে,
অকপটে সব অপরাধ স্বীকার করে
লুটিয়ে পড়তাম,
তোমার পবিত্র চরণ বেদী মূলে ।
আদালতের কাঠ গড়ায় দাড়িয়ে,
শৃঙ্খল বাঁধা হাতে-
ভেবে ছিলাম তোমার দেখা পাবো ।
আর নয়ন পানে চেয়ে থেকে
বিচারালয়ে আমার জন্মদাতা-
সেই পুরুষের কুৎসিত কথা কবো ।
গরবিনী মা আমার,
পরিত্যক্ত মন্দিরের নেয়
তুমি মোরে দুরে ঠেলে দিয়ে-
রইলে অজ্ঞাত ।
অথচ খোকা তোমার,
হতাশার পীড়নে রাত জাগে অবিরত ।
তুমি তো জানো না ,
রাত্রির প্রহর কে ভেদ করে
পালিয়ে ছিলাম,সকল দৃষ্টির অন্তরালে ।
যদি জননীর খানিকটা দেখা মেলে ।
অভিমানী মা' আমার,
তোমায় নিয়ে লিখেছি কত কবিতা
কারার দেয়াল জুড়ে,
দেখেছে সবাই ,পড়েছে তারা সুরে সুরে ।
জেল থেকে ছাড়া পেলাম
আজ কিছু দিন হলো,
খবর পেয়ে-
কে যেন আমায় কি বলে গেলো !
মা'সত্যি যদি তার কথা ঠিক হয়,
জগতে তুলবো প্রলয়-
যেখানে তোমার মত,
প্রসারিণী মায়ের চিহ্ন আর না রয় ।