শুনো হে পৃথিবীর মানুষ,
তোমাদের এক অশ্লীল কাহিনী বলি শুনো।
পাপিষ্ঠ এক তরুণের কাহিনী ।
শুনে আবার ধিক্কার দিও না যেনও।
বড় জঘন্য,কুৎসিত,বীভৎস ও
নগ্নতার নোংরা চিত্র আঁকা
সে পাপ কাহিনী ।
আমি দুর্ভাগা গরবিনী, স্নেহময়ী মা'য়ের
নেশাগ্রস্থ এক অসৎ সন্তান ।
যে মাতার,দেহ ধমনী জুড়ে মিশে শুধু
পুরুষ রক্তের অসংখ্য সু-ঘ্রাণ ।
বলতে তাই দ্বিধা নেই-
উৎসব এক নিষিদ্ধ রাতে,
হঠাৎ জন্ম আমার
আধার ভরা অরণ্য পৃথিবীতে।
আমি মাতাল,অত্যাচারী,নষ্টামি করে,
তোমাদের শান্তির সমাজে করি-
                      নশ্বরতার বীজ রোপণ ।
কোলাহল শূন্য গভীর রজনীতে,
বন্য জন্তুর ছদ্মবেশে কেড়ে নেই
                      টস টসে যুবতীর পবিত্র সম্ভ্রম ।
আমাকে কেউ মুক্তির বাণী শোনালে,
অস্তিত্ব করি তার ছিন্ন ভিন্ন নিশ্চিহ্ন।
আমি অস্তগামী সূর্যের মর্ম কথা বুঝি না ।
ভালোবাসা,সুখ,শান্তির কেতন,
বাতাসে উড়াতে জানি না ।
আদি পৃথিবীর যুগ সভ্যতাকে,কুর্নিশ করি না ।
প্রবঞ্চক কা পুরুষের ন্যায়,                      
জননীর অহংঙ্কারকে করি নিন্দিত,
                       লুণ্ঠিত,পদদলিত,কলঙ্কিত ।
আনন্দ,মুক্তি,সু-নীতি,প্রীতি,প্রশান্তি,
                       সৃষ্টির করিনা কামনা বাসনা ।
সুন্দরী রমণীর হৃদয় মঠে করিনা
                        প্রেম নীড় রচনা ।
কারো অশ্রুপাতে,মানবতার লেবাস পরে,
                        এ হাত প্রসারিত করিনা ।
বরং চোখের পলকে লুফে নেই তার,
অর্থ রূপ রস সংসার ।
শুধু রেখে যাই জীবনের শেষক্ষণ গুলোতে
ঘৃণা,সংঘাত ও দন্দের হা হা কার ।
শোন ভাইসব,
আমি মৃত্যুর প্রহর গুনে গুনে,
প্রেম,মুক্তি,যুক্তি এবং শক্তির অস্তিত্বকে
করে যাব অপমান,অসন্মান ।
কারো সাধ্য নেই ,"আমাকে ভিড়াতে
তোমাদের অনুগত পৃথিবীতে ।"