হেডমাস্টার,
আমাকে নির্বাসনে দিতে চাও ?
              শাস্তি দিতে চাও ?  
পাগল বানিয়ে পথে ছেড়ে দিতে চাও ?
                            সে ও ভালো !
ইচ্ছে হলে,
নিপুণ হতে গড়া-
ঐ ছড়ি টা দিয়ে এ বুকের রক্ত ঝরাও ।
                              তাও ভালো ।
আমি তাতে কিচ্ছু বলবো না ।
পাঁজর পিঠ ইত্যাদি রক্তাক্ত হয়ে গেলেও না ।
                 আমাকে ফিরে যেত বলো না ,


হেডমাস্টার ।
যদি বলো ভুলে যেতে,
এ দেশ ছেড়ে,অন্য বেসে পালাতে,
কিংবা অন্য ভুবনে,
অনেক দুরে চলে যেতে,
                        তাও না ।
                         কেননা-
আমি বিধাতার সৃষ্ট মানুষ ।
প্রাচীন মনুষ্য এবং
হিংস্র প্রাণীর ন্যায় নই বেহুশ ।


হেডমাস্টার,
তুমি আশার বাণী শুনিয়ে ছিলে,
মাথায় হাত রেখে কথাও দিয়ে ছিলে,
মমতা জড়ানো,
ঠোটের নীরব কাঁপুনিতে বলে ছিলে -
' আমার সংসার বাগানে,
রক্ত নাড়ির বাঁধনে বাধা,
প্রাণের প্রিয় গোলাপটাকে,
কি করে রে দেই ,তোর হাতে তুলে ?’
তারপর কোন এক দিন,কি ভেবে-
লাল টুকটুকে সেই গোলাপের সাথে,
তুমি আমাকে একাকার করে দিলে ।
কিন্তু তুমি যা ই বলো,
হেডমাস্টার-
ভোমর যেখানে ফুলের গন্ধ পেয়ে গেছে,
সেখানে ঘটবেই  তার পদচারণ ।
তুমি প্রেমিক ভোমরকে কোরও না বারণ ।
বিশ্বাসের প্রেমকে,
অবুঝের মত হিংস্রতায় খুন কোরও না ।


হেডমাস্টার,
তুমি তো জীবন গড়ার পথ দেখাও,
              জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাও,
ফুলবনে ফুলের মনে চেতনার পাপড়ি ছড়াও,
দুর্গম পথের যাত্রীর ন্যায়ের সন্ধান দাও,
তবে কেনও আমায়,
বিকৃত মনের নগ্নতায় সংকেত দেখাও ?


হেডমাস্টার,
আমাকে একান্ত ই যদি দুরে সরাতে চাও,
                             তবে জেনে নাও-
‘আমি খুন হবো তার ই হাতে,
যে ফুলের জন্মগাথা কৃষ্টি, তোমার ই হাতে।'