কবিতা,
তোমার দেখা পেতে চায় এই মন ।
তুমি কেমন ?
সাগর না নদীর মতন ?
শুনেছি তোমার প্রতাপ,
ঝড়ো হাওয়ার মতন ।
ভয়ঙ্কর, প্রচণ্ড ঘূর্ণি জোয়ারের মতন,
মানুষের চাওয়া পাওয়া কে,
করে দাও লন্ড ভন্ড ।
জেনেছি তোমার ক্ষমতার জয় ।
কে দিলো তোমায় ! এতো জোর বিশ্বময় ?
কবিতা,বল দেখি-
কর্ণ পাতিয়া রইলেম চুপ ।
দেখাও তোমার জাগানিয়া রূপ ।
বড় সাধ জাগে ,
সন্ধ্যা যমুনা তীরে বসে -
যুগ যুগ ধরে ,
বিশ্ব বিধাতার গড়া খেলার কথা বলি ।
তোমায় যে কতবার,
স্বপ্ন জোছনা আলোতে
না পাওয়ার বেদনায়
অস্থির প্রেমিকের মতো,ব্যর্থ ভাবনায়
নিজেকে ভুগিয়েছি ।
কবিতা ,
তুমি ধরা দাও ,
ঐ মুল্লুক থেকে হৃদয় অনলে ।
কেন তুমি তব ,
ব্যর্থ সর্বনাশার বীণা বাজাও ?
তুমি তো জানো না ,
সোনার মুকুট ছুঁড়ে ফেলে
কত যে ভিখিরির মতো পথে পথে ঘুরেছি ।
আর প্রতীক্ষায় থেকে
পরিণামে ধ্বংস ও যুদ্ধের সাক্ষাৎ পেয়েছি ।
জানিনা ,
কোথায় তোমার প্রকৃত আদিবাস ?
কেনইবা তুমি আমায় ,
ভবঘুরে সন্ন্যাসী বেসে
বেঁচে থাকার দিয়ে যাও আশ্বাস !
কবিতা ,
ফিরে চাও মোর এই পানে -
ও পারে গিয়েও যে শান্তি পাবো না মরণে ।
কি সুখ পাও ? ঐ দূর সীমান্তে -
অদৃশ্য নীল কুয়াশায় নিজেকে লুকিয়ে ?
দাও তব ধরা এ হৃদয়ে ,
ছন্দের ডোলা ভরা সুরবাণী নিয়ে ।
বড় সাধ ছিল ,
তোমার সাধনা পথের পথ ধরে -
প্রাচীন পৃথিবীকে দেবো পাড়ি ,
আর যত অবহেলিত রত্ন-মানিক
আছে পড়ি ,তুমি আমি একসাথে হৃদয়েতে
তুলবো ভরি ।
কবিতা ,
তুমি এত নিষ্ঠুর হয়োনা ,
অহেতুক শপথ নেবার দিয়োনা প্রেরণা ।
কোরো না ,এ কোমল হৃদয়ে আঘাত রচনা ।
তব হোক অঙ্কিত আজ থেকে -
তোমার আমার সাধনা ও বন্দনা ,
সত্য সুন্দর মানব বোধের
মননশীল সহস্র আলপনা ।