শান্তির অন্বেষায়
দিলাম তোমাকে উপহার
জীবনের চরম কবিতা-
                       হে প্রিয়তমা ।
অকারণে না হয়
বিপন্ন এ প্রাণ কে করিও ক্ষমা ।
বেশ কিছু দিন ধরে,
আমার প্রেমামন
মাতিয়াছে খেলায়-
হৃদয় পৃথিবীর দ্বারে বসে,
একাকি নিরালায় ।
তোমার সঙ্গ না পেলে,
এই প্রাণ যাবে-
নিপীড়িত ধ্বংসলীলা স্রোতে ভেসে ।
এ নয়নে একটু ফিরে চাও,
পারো যদি-
হাতে হাত ঠোটে ঠোট রেখে,
দেহের পরশে ঘামের সু-ঘ্রাণে,
কিছু সাক্ষর রেখে যাও ।
নচেৎ এ বুকে আগুন  জালিয়ে,
সমস্ত ভালোবাসার মিনার কে
পুড়ে ছাই করে দাও ।
প্রিয়তমা,
এ আত্মা ঘৃণা সংঘাত তিক্তের
মর্ম বাণী বুঝে না ।
শুধু খুঁজে আগামী দিনের প্রশান্তি
এবং বিপুলতার সম্ভাবনা ।
রাত্রির শীতল মায়া জড়ানো হাওয়া
বিছানায় যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ি ,
ঘুমের পৃথিবীতে-
স্বপ্নের আঙ্গিনায় ছুটোছুটি করে,
শুধুই তুমি আর আমি
লুকোচুরি খেলা করি ।
কখনো বা প্রিয়তমা-
ঐ শ্বেত হস্ত যুগল,
ভীষণ ভাবে কামড়ে ধরে,
জোঁকের মত -
আমার গোপন মনের অস্তিত্বকে ।
ছুটে যেতে ইচ্ছে হয়,
সব বেমালুম ভুলে-
ছুড়ে ফেল গড়াগড়ি খেতে,
তোমার ঐ সু-উন্নত বুকে ।
ফেরাও আমাকে !
আর যে পারি না মিছে,
কল্প সুখের আলপনা একে যেতে ।
কেবলই শান্তি চায় ক্ষুধিত প্রেম-
                        সন্ধির সংগীতে ।
তুমি কৈফিয়ত চেওনা, প্রিয়তমা ।
সবার ধরণীতে অতিরিক্ত দুর্ভিক্ষে,
তুমি ই আমার জীবন ও
            পথচলার একমাত্র অনুপমা ।
প্রচণ্ড সাধনায় গড়া পবিত্র ভালোবাসা,
বিলাতে চাই সবটুকু আমি একা ।
প্রবঞ্চকের মুখোশ ধরে,
আসিনি তোমার হৃদয় সীমান্তে-
                      ছদ্মবেশে  দিতে ধোঁকা ।
ইচ্ছে হয় কেবল -
মানুষের রচা নিষিদ্ধ যত শ্লোগান,
বলিষ্ঠ বাহুর ক্ষমতা বলে-
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেই
নষ্ট সমাজের বালুকালয়ে ।
যে ব্যানারে থাকবে শুধু-
        স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন গড়ার শ্লোগান,
অথবা অধিকার প্রতিষ্ঠার ,
           বাণী ছাড়া আর কিছুই নয় ।