একটু জ্বল দিতে পারো কেউ -'বড় তৃষ্ণার্ত
শত্রর ধাওয়া খেয়ে হয়ে পড়েছি 'বড় বেশী ক্লান্ত।'                              
সারা দেহ জুড়ে অজস্র আঘাতের ক্ষতচিহ্ন,
ওরা সমাজ থেকে আমায় করতে চায় ছিন্ন।
কী অপরাধে অপরাধী নাহি বুঝিতে পারি,
অথচ ওদের দাবী!যেতে হবে মোরে দেশ ছাড়ি।
জীর্ণ শীর্ণ দেহ-বস্ত্রে রক্তাক্ত নিরুপায় আমি,
বিনা দোষে হলেম পৃথিবীর বুকে  আসামী।
কোথায়!কেউ কি দিবে না মোরে-'এক ফোটা জ্বল'
ফেটে যায় যে বুকের ছাতি,তৃষ্ণায় বুক জ্বলছে অবিরল।
বাঁচতে দাও প্রাণে, একটু সোহাগ পরশ আদর দিয়ে'
আপন করে নাও মোরে 'থেকোনা অ-দুরে দাড়ায়ে।'
ছুঁয়ে দেখ এ-বুকে,রক্ত ঝরা শত ক্ষত স্থানে,
কত শোক গাথা,দুঃখ যন্ত্রণা আহত যুবকের মনে।
বেশ তো ছিলাম, যখন হাতে ছিলনা বাবার দেয়া কলম,
নীরবে বুঝে নিতাম,শত্রর হুকুম কত নির্মম।
ঈষৎ চেয়ে দেখ,আঘাত বিধ্ব যুবকের রক্তাক্ত চোখে,
শত ক্যানভাসে আঁকা প্রতিবাদ লেগে আছে এ মুখে।
কোথায়!দাও এই হাতে জল ,এক ঢোকে খাই গিলে,
দেখি,এতে যদি খানিকটা পরানে শান্তি মিলে।
ইশ!পড়ে গেলো বুঝি সবটুকু জ্বল,জিভ খানি ভিজে,
হলো তব শেষে শিকারির তীর বিধ্ব-তৃষ্ণার্ত বুকের মাঝে।