আমার পিতামহের, তস্য পিতামহের,
তস্য, তস্য, তস্য পিতামহের,
অনন্ত পিতামহের সময়  দোলক
আমার শোবার ঘরের দেয়ালে টাঙ্গানো।
ঘুম থেকে উঠেই দৃষ্টি পড়ে ওই দোলকের দিকে।
দুলছে তো দুলছে, কেবলি দুলছে।
আপেক্ষিক ফ্রিকোয়েন্সিতে।
সময় এলেই শব্দ করে ঢং ঢং ঢং ।
মনে করিয়ে দেয় আমার আমি'র ঢং'এর কথা।
নব বর্ষার প্রাক্কালে বেজে ওঠে ঢং ঢং
নৈশ প্রহরীর লাঠির গোলকে বেজে ওঠে ঢং ঢং।
আমি তাকিয়ে থাকি ওই ভীষণ নিদারুণ দোলকের দিকে।
একটুও থামছে না। কী দারুণ টেনাসিটি দোলকের!
আমার ছোটবেলা যাচ্ছে - কৈশর যাচ্ছে ওই দোলকের সাথে,  একই পথে।
বিষন্নতায় তাকিয়ে থাকি ওই পথের দিকে।
আহা! একটু যদি থেমে দুদণ্ড কথা হতো।
আমার ছেলে বেলার সাথে, আমার বসন্তের সাথে।
হঠাৎ মুড়িয়ে যেত না বাগানের ফুলগুলো।
তুলে নিয়ে অনেকটা সময় সৌরভ শুকতাম।


চিৎকার করে বলছি, সকলে এসো।
আমরা সকলে মিলে ওই সময় দোলকটাকে থামতে বলি।
না থামলে টেনে নামিয়ে ফেলি।
বাধ্য করি দোলককে  থেমে যেতে।
কে আছো বিজ্ঞানী, থামাও।
অসহ্য ঐ কাটার বহুগামিতা।
কাটা এগিয়ে যাচ্ছে, আমি পিছিয়ে যাচ্ছি।
আমি তা চাইনা, কাটা এগিয়ে যাক,
দোলক দুলতে থাক।