পৃথিবীতে আমার জন্ম এক কিংবদন্তী হবার জন্য।।


আমার শৈশব কানে কানে বলে গেছে-
আমার স্বপ্নে এগারটি নক্ষত্র প্রণাম করেছে;
আমার শিহরণে অভিন্ন ক্ষমতা স্ফুরণ;
আমার দৃষ্টিতে মনুষ্যত্বের আগাম বিস্ফোরণ;
আমি দুর্লভ হীরক খনি,
বৃহস্পতি মঙ্গল দু’কাঁধে – আর পায়ের নীচে শনি;
আমি মায়া সাজিয়ে কায়াকে করেছি ধন্য।।


পৃথিবীতে আমার জন্ম এক কিংবদন্তী হবার জন্য।।


আল্পসের চূড়াতে কিশোর চেরোকী বাঁশী;
ঈগল মুখোশে সর্পরাজ যে দিন পেয়েছে ফাঁসি;
প্রশান্ত সাগরের নীল-তিমি-আতংক জানে,
তবু মিথ্যে রাজনীতি কাঁটা এখনও বেড়াজাল বুনে,
দৈববাণী মুখে আউলিয়া আর ভান্তে-
ধৈর্যের জরায়ু উপড়ে তবে, সফলতাকে , পৃথিবী চেনাতে,
আমি বাস্তবরূপ দেবো যা ছিল প্রতিশ্রুত,
মহাবিচারকের সভায় শুনানি হবে – অতিদ্রুত,
আমার উদ্দেশ্যে বরাদ্ধ অগুণিত ফেরেশতা সৈন্য।।


পৃথিবীতে আমার জন্ম এক কিংবদন্তী হবার জন্য।।


আমার ক্ষমতা বাহুতে যখন শেকল পড়াবে
বুলডজারে পা থেতলে যখন পতাকা উড়াবে,
হৃৎপিণ্ড অকেজো করে গলায় ঢালবে বিষ,
বিচ্ছিন্ন কবর- কিংবা আগুনে জ্বলবে গিরীশ
আমার মাথার খুলি হবে তোমার শকুনির খেলনা
ইতিহাস পাতায়, সভায়, মিডিয়াতে, বলবে, “তিনি কেউ না!”
তখন তোমার পত্নী জঠরে সযতনে আমার অবতার অনন্য।।


পৃথিবীতে আমার জন্ম এক কিংবদন্তী হবার জন্য।।


মৃত্যুঞ্জয় আমি –
প্রতিটি শিশুর কোমল হৃদয়ে বরেণ্য
আমার জন্ম পৃথিবীতে
এক কিংবদন্তী হবার জন্য।।


নোটঃ পৃথিবীতে যারা মহামানব ছিলেন তারা কখনই প্রাথমিক অবস্থায় কারও কাছে গ্রহণীয় ছিলেন না। স্বার্থান্বেষী মহল সবসময় চেয়েছে সত্যিকারের প্রতিভাবানদের কে হত্যা করতে যাতে তারা ক্ষমতা পেতে না পারেন। তাদের সম্মানার্থে এই কবিতা।