কফিনটাতে পাপগুলো সব রাখো-


এখন তুমি পালিয়ে যাওয়া
নরক হতে মুক্ত হাওয়া
গ্লানির শেকল খুলে এসে
কফিনটাতে পাপগুলো সব রাখো।।


ভুলে যাও -নেই অভিযোগ আর
ভয়গুলো করবে না প্রহার
হতাশার দূত পেছনে ফেলে
কফিনটাতে পাপগুলো সব রাখো।।


“কার সুপারিশ?”
প্রশ্ন ঘুরে দিকে দিকে
ফেরেশতারা অবাক চোখে
তুমিও ভাবো – “কিভাবে?”
নোংরা টাকা, তুচ্ছ সোনা,
বায়ান্ন তাস, মদের গেলাস?
ভাগ্য ধরার আংটিগুলো?
জমির দলিল? আজ তো ধুলো!
নষ্টা মেয়ে না কী সতী নারী
কার সুপারিশ এত ভারী?
চুরি বিদ্যা, মিথ্যে কথা?
পঙ্গুলোকের জন্য ব্যথা?
এক ওয়াক্তের সালাত আদায়,
ফকিরের হাতে রুটি সদকায়?
কোনো ঈদের কোরবানী পশু,
পালিত কোনো অনাথ শিশু?


“কার সুপারিশ? কার সুপারিশ?”
তোমার জন্য হয়নি সালিশ;
মক্কায় বসে প্রায়শ্চিত্ত?
তবুও স্রষ্টা হননি সিক্ত;
কেউ বলেনি পক্ষে তোমার
নবী চাইছেন কঠিন বিচার;


তবুও তোমার রাহমাতের রাত
মায়ের দোয়ায় পেলে নাজাত।।


কফিনটাতে পাপগুলো সব রাখো
মায়ের পায়ে তোমার বেহেশত – দু’চোখ ভরে দেখো।।
=======


এক লোক এমন অনেক অন্যায় করতেন যা তাকে খুব আনন্দ দিতো। খুন খারাবী নয়, কিংবা কাউকে বিপদে ফেলে নয়, এছাড়া অনেক বাজে কাজ যা সমাজে, ধর্মে ও আইনে নিষিদ্ধ ছিল। অনেক ছোটবেলায় সে তার মাকে হারিয়েছে। জীবিত যতদিন সে তার মাকে পেয়েছিল, মায়ের সেবা করত। কখনও তার মাকে কষ্ট দেয়নি। একদিন এই লোকটার মৃত্যু হল। সে জানে সে অনেক খারাপ এবং তাকে নরকেই দেয়া হবে। কিন্তু স্রষ্টার কোনো একটা সিদ্ধান্ত ফেরেশতাদের অবাক করে দিল।