কোন অবেলায় এসেছিনু ভবে,
কেইবা পাঠালেন কেনইবা তবে?
প্রভাতে দেখিনু সোনালী আভা,
শিশির সিক্ত ঘাসের ডঁগা।


চারিধারে দেখি সবুজে শোভা,
নীরদের ভেলা গগন জোড়া।
বহিছে সমীরণ হইয়াছে মাতাল,
মাঝিরা ছুটিছে তুলিয়া পাল।


গফুর মিয়া লাঙ্গল কাঁধে,
ঋণের রেখা আঁকিছে ভালে।
শক্ত হাতে ধরিয়া কোদাল,
ভরিবে গোলায় সোঁনার ফসল।


সুদের সুদ হইয়া চড়াও,
মহাজনের ঘড়ে সোনা ছড়াও।
ক্লান্ত দেহ বিষন্ন মনে,
গফরার ভাগ্যে খড়কুটো জোটে।


অভাবে অভাবে জীবন কাটে,
মহেশ হেথায় অভুক্ত মরে।
তর্ক শুধায় জ্ঞানের বাণী,
গফরা তুই নরকে যাবি।


ব্রাহ্মণ তোমার পায়ে পড়ি,
দাও দেখি ধার খড়বিচুলী।
আরে গফরা করেছিস কি?
পুজোয় যাবো ছুঁইয়া দিলি?


কেউ বোঝেনা গফরার ব্যাথা,
হায়! কি নিষ্ঠুর ভাগ্যবিধাতা।