এটা সেই রঙ।
রাতজাগা পাখিটার শেষ ডাকে জেগেছিল হঠাৎ,
প্রভাতের সোনালী আভায় মিশেছিল একদিন,
হৃদয় মোহনায় তোলেছিল অনুপম ছন্দ।


ব্যস্ত শহরের এখানে ওখানে ছড়ানো মানুষের ঢল,
বেলা বয়ে জীবনের নিরন্তর প্রবাহ,
পথ বেয়ে সারি সারি ট্রামের ব্যস্ত ছুটে চলা
আর নিয়ন আলোতে সাজানো এ শহরের প্রাসাদগুলো
একদিন সেজেছিল এ রঙেই।


গাঁয়ের পথে বৈরাগীর একতারা সুরের মূর্ছনায়
ঘাসফড়িঙের থৈ থৈ নৃত্যের ঝংকার,
জানালার খোলাপথে ধানের মহুয়া সুবাস,
মিঠেপুকুরে একঝাক হাঁসের ডুবোডুবিতে-
একদিন মিশেছিল এ রঙ।


বর্ণহীন জোছনার প্রলেপে বর্ণহীন শহর-গ্রাম,
কাঁশফুল কিংবা শহরের সাজানো পথ,
মহুয়ার সুবাস,সন্ধ্যাপ্রদীপ আর জোনাকির আলো-
এত রঙ পেল কোথা?


গোধূলীর পড়ন্ত সূর্য্যটার পথের ধারে
সাগরের নীল এক অপূর্ব নীলাভ আল্পনা আঁকে যেন!
আগমনী প্রত্যুষ তবে এ রঙেই সাজবে আবার?
তবে এ রঙ অমন নীলচে কেন-?