ঘোর নির্জন অন্ধকার রাত্রির
আতঙ্কের মতো বর্ধিষ্নু  
নির্মোহ পিঞ্জরের প্রাচীর বন্দী
যন্ত্রণার মিছিল......
অস্তিত্বের রক্তিম চোখদুটো মুখ লুকায়
তুলোর বালিশে ।
লজ্জা নয়, ভেবেছিলাম -
বুকের বাক্যগুলো অব্যয় থাক,
লেখনী বেয়ে রক্ত ঝরুক  
তাইতো মাটি পাথরের সাথে ভাব করি
বিষাক্ত জনস্রোতকে এড়িয়ে ।
কারও ছন্দিল ছলনায়
ছারখার হয়ে যাই আমি
কিংবা কেউ আলোর পাহারায় জেগে থাকা
অনিষিক্ত অন্ধকার ঢেলে দেয়
অনাসিক্ত বুকে !
অনাকাঙ্কিত নীলবিষে জর্জরিত 'আমি'
অবশেষে নিজেকে গুটিয়ে নিই
চরকায় কাটা সুতোর মতো ।