আজ চক্ষু মেলেছি হঠাৎই !
এ কি দেখি আমি -
জীর্ণ সমীরণ, নিঃসঙ্গ নীলশূন্য
অজানা অন্তরালে বিহগেরা যেন তন্দ্রিত!
চাষা যায় না মাঠে
ভাঙে না মাটি হালের ফালে,
স্তুপীকৃত রাশি রাশি বালি, প্রস্তর
মাটির হৃদয়ে ।
রাখাল বাঁশিটি হারিয়ে ফেলেছে
তাল-পলাশের বাগিচায়,
হয়তো পড়ে আছে কোনো
আলের পাশে ।
গ্রাম্য বধূর ঘাটে নাইতে যাওয়া
আর হয় না,
সে সরণির সংকীর্ণ রেখা
নিয়েছে বিদায় ।
দোলে না শরের বাগিচা,
প্রসূনহীন তরু যেন বড়ো অসহায় !
বলাকারা সব ফিরে গেছে
সেই কবেকার ইতিকা বেলায় !
আর আসেনি,
সন্ধ্যা ঝরেনি সডান থেকে ।
ফিরে আসেনি প্রান্তর থেকে
ধেনুর সারি দিবা অন্তিমে ।
সন্ধ্যাপ্রদীপ অন্ধকারে,
শঙ্খটিও কেও নিয়ে গেছে,
সে আর ফেরেনি ।
বিনিদ্র শশীরে বড়ো নিঃসঙ্গ
অসহায় লাগে ।
জানি না কোনো কবি বিনিদ্রতার
সুতোয় হৃদয় গেঁথেছে কি না !
- এ কী দেখি আজ !
বদলে গেছে সব ।

নিরবে অপসৃয় হয় রাত্রির আচ্ছাদন ।
ভেসে আসে আল্লাহ-র
মসজিদের নামাজ,
ভেসে আসে হরিমন্দিরের সংকীর্তন ।
অসহায়তার মাঝেও মিলেমিশে
এক হয়ে যায় দুই মসৃণ কোমল সুর ।
একটু পরেই দৃশ্যমান হবে
ভোরের আলো -
হয়তো, হয়তো .....................  


-(09/04/2013)