গভীর রাত্রে যখন তন্দ্রা
আমায় গিলে খায়,
চেনা পথ ধরে কেউ যেন ওই
হেঁটে হেঁটে চলে যায় ।
কোমল স্পর্শ গ্রাস করে মোর
কঠিন তপ্ত গায়,
তুই আর আমি শুধুই দুজনা
শান্ত বিছানায় ।


স্বপন বিহগ ডেকে ডেকে যায়
হৃদয়ের তরুশাখে,
হেঁটে হেঁটে আসে চঞ্চলা প্রিয়া
পিছনের ধূলি বাঁকে;
সযতনে তারে জড়াই যে আমি
শূন্য ব্যথিত বুকে,
শূন্যতা জুড়ে হৃদয় তখন
সোহাগেতে ভরে থাকে ।


বাস্তবে চলে গেছিস রে তুই
ওই দূর-বহুদূর,
স্বপনের মাঝে ভাসে আজও তোর
মধুর চেনা সুর ।
ভাবি যে তোরে বসে বসে প্রিয়া
রাত্রি আর দুপুর,
মনের ঘরেতে বাজিয়ে যে যাস
পায়ের দুই নুপুর ।


আজ তুই রানী, আমি রাজা নই
কী দারুন তবে বল !
অভিমানী জলে মুছেছে কী তোর
চোখের ওই কাজল ?
তোরই নিদানে হয়েছে দুচোখ
অশ্রুতে টলমল,
কেমনে সইব বলনা প্রিয়া
এত বড়ো তোর ছল !


চলে গেলি প্রিয়া, তোর কাছে মোর
ছিল না তো কিছু দাবী,
তোরে ঘিরে শত স্বপন চরিয়ে
হয়েছি রাখাল কবি ।
চলে গেলি করে নিথর আমাকে-
জীবন্ত এক ছবি !
এই ধরা মাঝে পুড়ে ছাই হব
আকাশেতে খুঁজে নিবি ।


রচনা : ১২/০৫/২০১৩
মধ্যরাত্রি: ১:১৫


ফেইসবুক পেইজ : http://www.facebook.com/sudiptantubaynil