এই ধরা মাঝে প্রত্যক্ষে কোনো কিছুর
লীলা বুঝতে পারি কিছুটা হলেও,
বোঝার সাধ্যি হয়না শুধু
ললনার হৃদয় !
ভাবনের সিঁড়ি বেয়ে গেছিলাম সে রাতে,
ব্যর্থ হয়ে ফিরেছি সে রাত দুপুরে !
আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে
তার শিখাতেই জীর্ণ করো, জ্বালিয়ে দাও
আশার হৃদয় ;
তার অবশেষ - কালো ছাই মেখে
ভ্রমর হও,
অন্য প্রসূনে গিয়ে বিজয়ীর হাসি দাও
কয়েকবার ।
- এ কী তোমাদের লীলা ললনা !
ধ্বংসাত্মক লাস্য আজ সর্বশান্ত করেছে
মোদের সহস্র হৃদয় ,
ডেকেছে জোয়ার ভেঙেছে দু কূল !
প্রকৃত ভালোবাসা সহ্য হয় না
তোমাদের হৃদয়ে !
আহা ! শুনেছি মোমের মতো তো হৃদয় !
কী করে হবে সহ্য ! আহা রে !
অন্ধকার ঘরের শয্যায় নিজ পতিকে
কামিত উপবাসী রেখে
অন্যের উপবাস মেটাও সন্তর্পণে
বেশ্যারুপী হয়ে ।
- হে ললনা এ কী তোমাদের লীলা !
তোমাদের লাস্যের কাছে আজ
মাথানত করেছে মোদের তান্ডব !
তোমারা বিজয়ী ;
যাও, এগিয়ে যাও
মোরা বলব না কিছু ।
ললনা তোমরা তো জননী
তোমাদের আঁশটে অন্ধকার অন্তর্বাসই
শুরু হয় এই নশ্বর অবয়ব
সৃষ্টির নকশা ।
তবু কেন তোমরা এত নির্দয় !
তোমরা সৃষ্টির কারুকাজে মত্ত থাকো
শত শত হৃদয় চূর্ণ করে ।
সৃষ্টির ধারা থাকবে অব্যাহত;
অব্যাহত থাকবে না একদিন জননীর মর্যাদা ।
একদিন প্রকৃতি পাঠাবে সেই দিন
সেই রাত্রি
যেদিন মুখোমুখি হতে হবে তার
সহস্র প্রশ্নের ।
উত্তর দিও, শুধু উত্তর দিও ।


[এই কবিতা পড়িয়া করিও না মিছে
লম্ফন ঝম্পন,
করিও না মিছে আষ্ফালন
যে ললনা এ স্বভাব করিয়াছে জয়
তাহাদের লয়ে লিখিয়াছি মাত্র
কয়েক চরন ।
যদি কেহ ভাবিয়া থাক
করিয়াছি ভুল,
আশ্রয় হইবে মোর ক্ষমা তটিনীর কূল ।]


রচনা : ১৭/০৫/২০১৩
রাত্রি : ১১:০৬