বর্ষারাতে একটা মেয়ে
চমকে উঠি-ভূত !
করিস না ভয় আমি ওরে
কাব্যদেবীর দূত ।


জিজ্ঞাসিলাম-কেনই এলে
এই গরীবের ঘরে ?
বলল-আমি মেঘবালিকা
এলাম তোমার তরে ।


মেঘবালিকা, বসো তুমি
ধরাই প্রদীপ শিখা ।
স্বল্পালোকে মুখটি যে তার
আলতো করে দেখা ।


বাইরে বৃষ্টি আমরা নিরব
আলো-ছায়া ঘরে,
মেঘবালিকা জিজ্ঞাসিল-
স্বপ্নে কী রঙ্ ঝরে ?


বললাম আমি-আমার স্বপ্ন
সদাই থাকে নীলে,
সকাল হলে যায় যে নিয়ে
দুরের শঙ্খচিলে ।


কেমন স্বপন কেমন ভাবন ?
-মেঘবালিকা বলে-
শঙ্খচিলে স্বপ্ন নেবে
বুকের খাঁচা খুলে !


শক্ত করে বাঁধ রে খাঁচা
মুক্তোমণি তারা,
সঠিক রুপে সাজা তাদের
ভর এ কাব্য ধরা ।


সমাজে তোর দায়িত্ব যে
অনেকখানি বাকি,
মনের ভাবন দিস না করে
দুর আকাশের পাখি ।


থাকবি না তুই একদিন ওরে
সৃষ্টি যে তোর রবে,
সৃষ্টি জুড়েই জনম জনম
থাকবি বেঁচে ভবে ।


হঠাৎ নিরব চারিদিক সব
মেঘবালিকা যে নাই !
বাইরে শুধু ঝিরিঝিরঝির
বৃষ্টিরা ঝরে যায় ।  


ঘরের প্রদীপ নিভে গেল
দমকা হাওয়া এসে,
মেঘবালিকা হারিয়ে গেল
মেঘলা মেঘে ভেসে ।


রচনা : ১৩/০৭/২০১৩