তোর কীসের এত দেমাক ?
লেখার যদি খুঁতটি ধরি
লাগবি পিছে উঠি পড়ি
যতক্ষণ না মারবি ফিরি
মিছরি ছুরির হাঁক !
মুখ ফিরিয়ে চললি কোথা ?
বলেই যারে একটা কথা
বুক যন্তরে কেমনে সেথা
রাখিস এত দেমাক ?
তোর এ কীসের অহংকার ?
জানি না তোর বয়স কত
একুশ তিরিশ কিংবা শত,
মনটা যে তোর বিন্দু মতো
ছোট তটিনীর পাড় !
মনকান তোর বড়ো খাটো
ভাবিস তোকে করছি ছোট
তায় তো তোরে মানায় এত
দেমাক অহংকার !
কেন মরিস গুমরে হেসে ?
মিষ্টি সুরের মধুর বাঁশী
সেই সুরেতে দিস রে ফাঁসী,
কোপ লাগিয়ে নির্লজ হাসি
ডেকে মোরে ভালোবেসে !
মরবি কত অহংকারে
জ্বলবি দুরে ওই ভাগাড়ে,
ছুটবি শত দেমাক ভরে
দুই রক্ত আঁখে হেসে ।
মোর সাথে রাগটা কীসের ?
লিখ না ওরে আমার মতো,
রাগেতে তুই ফুঁসবি কত !
আছে কী তোর বুকেতে এত
পানতা ভাতের জের ?
হতে পারে বয়সটা কম,
বুকে আছে পানতার দম,
নখের কোনে দেব জনম
তোর মতো কবি ঢের ।
তোর বড়ো হওয়ার দাবি ?
ভরুক কবিতা শত দোষে
ভালো তবু বললে কষে
সুখী হবে গর্বে হেসে
আপনাদেরই কবি !
খারাপ যদি দিয়েছি বলে
গুমরে দেবে কানটা মলে
ফেরত দেবে খেলার ছলে
সেই মন্তব্যের ছবি ।
তোর বহুত আছে রে দম ?
মা কে বল রে আদর করে -
পুরো একটি গেলাস ভরে
জলদি করে লেখার ঘরে
দুধ দিয়ে যাও মম ।
দুধ খেয়ে তুই হেলে দুলে
লড়ার মত শক্তি পেলে
ওয়েবসাইট ফেল রে খুলে -
ডোন্ট অ্যংরি মি ডট কম !
রচনা : ০১/০৮/২০১৩