রঞ্জিতা, তুমি জানো,
কত বৃষ্টি ঝরে গেছে
তুমি চলে যাবার পরে !
তুমি জানো, আমি নীরবে
পড়ে থাকি প্রতিরাত
নির্ঘুমতার আলিঙ্গনে !
আমার লক্ষ্য হারিয়ে গেছে
তোমার পথে,
যে পথে তুমি ফিরে গেছ,
রেখে গেছ স্মৃতিগুলো ।
যখন সন্ধ্যা বাতাসে তোমার সুবাস
হয়ে ওঠে বাঁচার অক্সিজেন,
তখন সিগারেটের প্যাকেটটা ছেড়ে
প্রাণভরে নিই একটু নিঃশ্বাস !
দেহজ কোশগুলো জেগে ওঠে
সজীবতার আলাপনে ।
বিশুদ্ধ রক্তের কণিকায়,
শিরায় শিরায় তুমি বয়ে যাও সর্বত্র !
আমার গোলাকার কক্ষপথে
হয়তো বা আমি এক প্রোটন,
নিউট্রন কিংবা এক ইলেকট্রন,
আমার নিউক্লয়াস তুমি !
দিবানিশি তোমাকে ঘিরেই
আমার পরিক্রমা ।
একদিন ছিটকে বেরিয়ে যাব
কক্ষপথ হতে,
বিবস্ত্র নশ্বর অবয়ব
পুড়ে হয়ে যাবে ছাই !
হয়তো বা জানবে না তুমি !
বহুদিন পেরিয়ে যাবে
বহুরাত পেরিয়ে যাবে
ভুলে যাবে তুমি আমাকে ।
তবু ভুলবে না তোমাকে
আমার কবিতা ।
রঞ্জিতা, যতদিন আছি
তুমি শুধু আমার কবিতাতে নয়,
তুমি থাকবে আমার হৃদয়ের হৃদয়ে,
গহীনে গভীরে,
যেখানে জন্ম নেয়
অবিনশ্বর সৃজনের নকশা,
যেখানে জন্ম নেয়
যুগ যুগ ধরে
তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার কারুকাজ !


রচনা : ০৯/০৯/২০১৩